নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ের পাশাপাশি এবার সায়েন্সল্যাব মোড়ও বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে এই আন্দোলন করছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটায় নীলক্ষেত থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী ভাগ হয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সায়েন্সল্যাব মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি না মানলে পুরো ঢাকা অচল করে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বারবার অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে তাদের শিক্ষা জীবনের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়ক ও এর আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়েও অবস্থান নিলে ওই এলাকায়ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠক হয়। বৈঠকে চলমান পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই নীলক্ষেত মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মোড়ে অবস্থান নেন। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। এরপর আজ সকাল থেকে তারা আবার সেখানে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।
এদিকে, এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির বিষয়ে জরুরি সভা চলছে। বুধবার দুপুরে এ সভা শুরু হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টায় সভা হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে দুপুরেই শুরু হয়েছে।
ভার্চ্যুয়ালি এ সভায় যুক্ত আছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাত কলেজের সমন্বয়কসহ কলেজের অধ্যক্ষরা।