নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রোববার হতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এতে অবসান হতে যাচ্ছে দীর্ঘ অপেক্ষার। রোববার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ আয়োজিত সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়েও লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে সরকার সেবা সহজীকরণে এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
বিআরটিএকে একটি সঠিক সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে এখনো গ্রাহক ভোগান্তি আছে, তবে এ ভোগান্তি প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কমে আসছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানো গেলে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনেকটা কমে যাবে।
বিআরটিএ’তে দালালের দৌরাত্ম্য এখনো আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে তাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের সখ্যতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পরিবহন বিষয়ক যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
মন্ত্রী সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, ইতোমধ্যেই সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা সভা ও ভাষণ প্রচারের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালনের আহবান জানান।
তিনি আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকেও দিবসটি পালনের আহবান জানান।
লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান। তদন্তের মাধ্যমে লেখক মুশতাকের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করেন সেতুমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি এ আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতা মানে এই নয় যে যার মতো যা খুশি বলার নিরঙ্কুশ বা একচেটিয়া অধিকার থাকবে।
অন্যের মতামতকে সম্মান জানানোও স্বাধীন মতপ্রকাশের সীমানাভুক্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এই আইনের ব্যবহার নিয়ে। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যাতে এ আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকা জরুরি বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশতাকের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তাধীন, তাই তদন্তাধীন ইস্যুতে একটি কুচক্রি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বলে জানান। ওবায়দুল কাদের এ অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান।