ভারত ও চীনের পানি পানি খেলা বন্ধের আহ্বান জানালো সবুজ আন্দোলন

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক নদীর পানি নিয়ে ভারত ও চীনের স্বেচ্ছাচারিতামূলক খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন। সোমবার দুপুরে ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।


বিজ্ঞাপন

বাপ্পি সরদার বলেন, “বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে নদীমাতৃক দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় নদী। আমাদের দেশে উৎপত্তিস্থল মাত্র কয়েকটি নদীর। বেশিরভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল ভারত ও চীন থেকে। আজ ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস। পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিজস্ব ধারায় প্রবাহিত হযে আসছে। মানব সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে নদী ও নদীর সভ্যতা দখল দূষণে পতিত হয়েছে। ক্রমশই বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। ভারত ও চীন তাদের ইচ্ছামত আন্তর্জাতিক নদী আইন অমান্য করে বাঁধ নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে ভারত তিস্তা ব্যারেজ সহ আরো কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ করেছে, বর্তমান সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ নির্মাণ করছে চীন। এতে করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আজকের আন্তর্জাতিক পানি দিবসে ভারত ও চীনের পানি পানি খেলা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতায় প্রত্যেকটি নদীর পানি দূষণে জর্জরিত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে অনেকটা ব্যর্থ হওয়ার পথে।”


বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১) বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে সিইটিপি ফর্মুলা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
২) কলকারখানার দূষিত বর্জ্য অপসারণে আধুনিক কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩) জলজ প্রজাতি বিলুপ্তি রোধে গবেষণা জোরদার করতে হবে।
৪) নদী খননে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লোকবল বৃদ্ধি করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫) বাংলাদেশ নৌ-পুলিশকে আরো আধুনিকায়ন ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
৬) পানি শোধনাগারের আধুনিকায়ন ও পানি বিশুদ্ধকরণ কেমিক্যাল ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
৭) ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের সচেতনতা বৃদ্ধি পাশাপাশি পানির অপচয় রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
৮) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯) তৃণমূল পর্যায়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারি উদ্যোগে সভা সেমিনারের আয়োজন করতে হবে।
১০) নদীতে পলিথিন সহ সকল প্রকার বর্জ্য ফেলা বন্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।