নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের পাসপোর্ট সেবা প্রদানের নামে ঘুষ লেনদেনের, হয়রানির এবং দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, নোয়াখালী-এর সহকারী পরিচালক সুবেদ আহমেদ-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম সরজমিনে উক্ত অফিস পরিদর্শনপূর্বক পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম, পাসপোর্ট প্রদানে বিলম্ব, দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানের অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, তথ্যানুসন্ধান ও কাগজপত্র পরীক্ষা করেছে। সত্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের যথাযথ নিয়ম অনুসরণপূর্বক সেবা প্রদানের এবং দালালদের দৌরাত্ম বন্ধের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে কোন রকম অনিয়ম বা দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে কিনা এবং যদি এরূপ কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি সংঘটিত হয়ে থাকে তবে এর সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহ হতে আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক তা পরীক্ষাপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার গারাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, পাবনা থেকে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে দুদক টিম সরজমিনে উক্ত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনপূর্বক প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, কাগজপত্র পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করেছে। সত্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঘর পরিদর্শন ও ইট, বালি, সিমেন্ট সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য প্রমাণসমূহ পরীক্ষা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
এছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর-এর সনদ ছাড়াই হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা, ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমি নামজারি বাবদ ঘুষ আদায়, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে অফিস সহায়ক নিয়োগ, মিটার রিডারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল তৈরি এবং হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে আনসার সদস্যের বেতন হিসাব আটকে রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগে প্রেক্ষিতে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন-নাটোর; জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার- শেরপুর; জেনারাল ম্যানেজার-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি; জেলা আনসার কমাড্যান্ট-ভোলা; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তেতুলিয়া-পঞ্চগড়-কে বিষয়সমূহ অবহিত করে কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।