আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনা জেলাধীন আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজার সংলগ্ন চলাভাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কালাম মাষ্টারকে সভাপতি মনোনীত করে বোর্ডে জোড়পূর্বক নাম পাঠানোর জন্য তার নির্দেশে চলাভাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ পলি বেগম সহ অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাকে হুমকি ও অশালীন ভাষা ব্যবহার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করছেন কালাম মাষ্টারের লোকজন।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কালাম মাষ্টার নিজেকে জোড়পূর্বক অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে নাম পাঠানোর জন্য মুঠোফোনে ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোকলেস,
কুট্টি সরকার সহ অজ্ঞাত নামা বহিরাগতদের এবং কয়েকজন অভিভাবককে আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। কালাম মাষ্টারের নির্দেশে ভাড়া করা বহিরাগত লোকজন প্রধান শিক্ষিকাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে এবং তার নির্দেশে কতিপয় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের দিয়ে নাম মাত্র অভিযোগ তুলছিলেন অনুসন্ধ্যানে যার সত্যতা পাওয়া যায় নাই। গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনা স্থলে পৌঁছালে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করে এবং অশালীন ব্যবহার করে কালাম মাষ্টারের ভাড়াটে বাহিনী।

চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কালাম মাষ্টার চাকুরী করছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গেজেট (অতিরিক্ত) ১৫ মে ২০২৪ ইরেজী তারিখের ১৭১৬৫ পৃষ্ঠার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধি ১২ এর ২ এর আদেশে বলা হয়েছে, কোন শিক্ষক কর্মরত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে নির্বাচিত হইতে পারিবেন না, তবে সমপর্যায়ের বা নিম্ন স্তরের অন্য কোন বেসরকারি অন্য কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হইতে বাধা থাকিবে না।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর গেজেট ১৫ মে ২০২৪ অনুযায়ী ১৭১৯৪ পাতায় বিধি ৩ বিধি থেকে ৫ এবং উক্ত গেজেটের ১৭১৯৩ পাতার সপ্তম অধ্যায়ে বিধি ৭২ (১) বলা হয়েছে সভাপতির বা কোন সদস্যের কোনো কার্যকলাপ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিংবা শিক্ষার্থীগনের স্বার্থ পরিপন্থী হইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বয়ং কিংবা, ক্ষেত্রমত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট কমিটির কোন সদস্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাইতে পারিবেন।
উক্ত গেজেটের ১৭৮২ পাতায় সপ্তম অধ্যায়ে বিধি ৫১ দন্ডের ভিত্তি ১ এর ক থেকে ঙ এবং (চ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী বা ক্ষতিকর কোন কাজ।
দন্ডের ভিত্তি ২ এর (ঘ) বলা হয়েছে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের উদ্দেশ্য এমন কোন কাজ করা যাহাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শিক্ষক বা শিক্ষার্থী গনের এক অংশকে অন্য অংশের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে প্রভাবিত করে।
আমতলী চলাভাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ পলি বেগম বলেন, বিভাগীয় বিচারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই। সুশীল সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সচেতন মহলের একাধিক জনসাধারণ বলেন, কালাম মাষ্টার সহকারী শিক্ষক হয়েও আইন বহির্ভূত কর্মকান্ডে নির্দেশনা প্রদান করায় এবং তার ভাড়া করা লোকজন ও অভিভাবক দ্বারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও বিশৃংক্ষলা সৃষ্টি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, কালাম মাষ্টার একজন সহকারী শিক্ষক হওয়া স্বত্বেও তার নির্দেশে তার ভাড়াটে বাহিনী সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেছে এবং প্রধান শিক্ষিকা সহ সাংবাদিকদের হুমকি ও অশালীন ব্যবহার করেছে।
তিনি সভাপতি হিসেবে জোড়পূর্বক নিজেকে মনোনীত করতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও বিশৃংক্ষলার সৃষ্টি করেছেন। চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কালাম মাষ্টারকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কালাম মাষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হইলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, কালাম মাষ্টার বিএনপির পদ পদবীর সক্রিয় রাজনীতি করেন। তিনি প্রায়ই তার বক্তব্যে চরমোনাই, জামাত ও এনসিপিকে হেয় প্রতিপন্ন করে কটুক্তি মূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং তিনি সভাপতি পদ পেলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তৃনমূল বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, কালাম মাষ্টার ত্রাসের রাজনীতি করায় বিএনপির গঠনতন্ত্র লংঘিত হচ্ছে এবং মাঠের ভোট নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষানুরাগী জোসেফ মাহতাব বলেন, কামাল মাষ্টার চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করছেন। চলাভাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ তার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় কারন তার উপরোস্ত প্রধান শিক্ষিকা রয়েছেন।
একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদ পেলে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ নষ্ট হওয়ার আশংকা খুব বেশি। কামাল মাষ্টার এর নির্দেশে তার লোকজন প্রধান শিক্ষিকা সহ সকল শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ এবং আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড করায় সবাই ব্যাথিত। তিনি জোড়পূর্বক সভাপতি পদ পেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনেক বিধি লংঘিত হবে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাই। ।