নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজ প্রায় এক বছর চার মাস ধরে খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। মওদুদ বলেছেন, ‘যদি জামিন না হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা আপিল বিভাগে যাব।’ গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শিরোনামে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মওদুদ আহমদ বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট ডিভিশনে জামিন চাওয়া হবে। জামিন না দিলে আপিল বিভাগে যাওয়া হবে। এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। কিন্তু তাঁর সত্যিকারের মুক্তি আসবে আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজপথেই খালেদা জিয়া মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। এজন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে এবং কর্মসূচি দিতে হবে। আমাদের এমন কর্মসূচি দিতে হবে, যাতে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।’
সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠিত। তারা সকলেই চায় খালেদা জিয়া যাতে আর কারাগারে না থাকেন। এটি দেশের ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছা। কিন্তু সেটি সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না, কারণ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমরা শত চেষ্টা করেও জামিনের সুরাহা করতে পারছি না।’
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকারে সুবিধাভোগীদের জন্য এ বাজেট। এ বাজেট জনসাধারণের জন্য না। গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ৫ কোটি ৮৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে গেছে। এটি বর্তমান সরকারের বাজেটের চেয়েও বেশি টাকা। যে হারে টাকা পাচার হচ্ছে, এ পাচার কারা করছে? এ সরকারের মদদ নিয়ে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে টাকা করেছে, সেটা দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করেছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুদিন আসছে। এই সুদিন এখন সময়ের ব্যাপার। এই সুদিন সেই দিন আসবে, যেদিন গণতন্ত্র আসবে খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আপনাদের থাকতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।