পিরোজপুর প্রতিনিধি : সুটিয়াকাঠীর উঠতি বয়সের বালিকাদের সাথে ইভটিজিংসহ জোর পূর্বক যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে লাল মিয়ার ছেলে ইমরানসহ মাসুদ, আকাশ ও নাসিরগংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সুটিয়াকাঠী ইউনিয়ন এলাকায় বাররা গ্রামের উদীয়মান ত্রাস এ চক্র। কিশোর রংবাজদের বেশীরভাগ অভিভাবক নানান ভাবে বিতর্কিত। চুরি চামারি সহ অসাজিক কাজ কর্ম করে এ চক্র বিগত সময়েই ছিল বিতর্কিত। এ চক্রের অত্যাচারে এলাকায় হত দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা নিরাপদ নয়। কারনে অকারণে নানান কায়দার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শারীরিক ভাবে ক্ষতি সাধন করা ছিল এদের কাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা মিডিয়াকে বলেন, নষ্ট প্রকৃতির এ চক্রের কাছে জিম্মি হয় বাররা গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে পূর্নিমা আফরিন ডেইজি(১৫)। গত দুই বছর ধরে ইমরান ও তার বাহিনীর লোকজন স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই চলার গতিপথ থামিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিত। পরবর্তীতে সাড়া না দেওয়ায় লালুর ছেলে ইমরানসহ মাসুম, আকাশ, নাসিরগংরা বিশ্রী ভাষায় বাজে মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখায়। এদিকে স্কুল ছাত্রী ডেইজি প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না। কোন একদিন পূর্নিমা বাধ্য হয়ে মায়ের কাছে সব কিছু খুলে বলে। কিন্তু মাও এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মেয়েকে ঢাকার এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কষ্ট করে ওখানে লেখাপড়া করবে। মায়ের আসা এসএসসি পাশ করলে একটা কিছু করতে পারবে। কিন্তু গরীবের আশা পূর্ণ হয় কম। তারপরও মেয়েকে গত বছর ঢাকায় পাঠান। ঐখানে উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল ও কলেজে ভর্তি হন।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল জাতীয় দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, আসলে গরীবের পেটে ঘি সয় না। আর তারই নমুনা দেখলো সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বাররা গ্রামের এলাকার লোকজন। গত ০৯-০৬-২০১৯ তারিখে এলাকার উদীয়মান ত্রাস রোমিও রংবাজ লালুর ছেলে ইমরানসহ মাসুম, আকাশ, নাসির গং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেইজির সর্বনাশা খেলায় মেতে উঠে। ঈদের ছুটির সময়ে পূর্নিমা দেশে আসার পর থেকেই এ চক্র ওত পেতে থাকে সর্বনাশ করার জন্য।
ঘটনার দিন বিকেল বেলা ডেইজি বাররা এলাকায় একটি দোকানে যায়। ওত পেতে থাকা সমাজের নষ্ট প্রকৃতির উদীয়মান ত্রাস ও রংবাজ চক্র হঠাৎ করে হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। বিকেল বেলার সিনেমা স্টাইলের ধস্তাধস্তিতে ভয়ে আঁতকে ওঠে পূর্ণিমা। ভয়ে একাকার হয়ে ওঠে ডেইজি। আর নষ্ট প্রকৃতির মাস্তান বাহিনী ডেইজিকে টেনে রাস্তার পাশে ঝোপঝাড় এ নিতে চেষ্টা করে। এ সময়ে ইমরানসহ এ চক্র ডেইজির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে শক্তি প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে ইমরান জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। পাশাপাশি এ চক্র ডেইজির গলার চেইন নিয়ে যায় কৌশলে। মুহুর্তের মধ্যে সব কিছু করার চেষ্টা করলেও কোন মতে নিজেকে বাঁচার জন্য দিতে চিৎকার দিতে সক্ষম হন।
এলাকার বিজ্ঞ সচেতন মহল মিডিয়াকে বলেন, ঘটনার পরক্ষণেই স্থানীয় মহিলা মেম্বার বিষয়টি আইনের হাতে তুলে না দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। বাদী পরিবার বিষয়টি আচঁ করতে পেরে ঐ দিনই নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০( সংশোধন ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা হয়। মামলার প্রধাণ আসামি লালুর ছেলে ইমরানসহ মাসুম, আকাশ ও নাসির প্রমুখ। সর্বশেষ স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার কথা অকপটে স্বীকার করেন। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে।