নিজস্ব প্রতিবেদক : ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি ওই তথ্য দিয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আমে ফরমালিন ও রাসায়নিক পরীক্ষা নিয়ে বিএসটিআইর প্রতিবেদন দেখে শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি প্রতিবেদনও আদালতে জমা দেওয়া হয়।
আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে, অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে না।’ এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে যেন আমে রাসায়নিক ব্যবহার না হয়, তা তদারকির জন্য গত ২০ মে মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক ও বিএসটিআইর চেয়ারম্যান ও পরিচালককে এই টিম গঠন করতে বলা হয়েছিল। একই রিটের শুনানিতে গত ৯ এপ্রিল রাসায়নিক ব্যবহার রোধে রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার।