নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ০৩ জানুয়ারী/২১ তারিখ জনৈক মমিনুল ইসলাম(ছদ্মনাম) এর নাবালিকা কন্যা মাহি(১৬)(ছদ্মনাম)কে আসামী সোহাগ সহ অন্যান্য অপহরনকারীরা অপহরন করে নিয়ে গেছে।
বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নীলফামারী থানার মামলা নং-২৩ তারিখ-২৭/০১/২০২১ খ্রি:, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৭/৩০ তৎসহ পেনাল কোড-৫০৬ রুজু করা হয়। অপহেরনের পর হইতে আসামী ভিকটিমকে নিয়ে ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তনসহ নিজেদের আত্মগোপন করে রাখে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই/ মো: আব্দুল ওয়াহেদ তদন্তের এক পর্যায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারেন মাহিকে নিয়ে অপহরনকারী চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন বারো আউলিয়ার মাজার এলাকায় অবস্থান করছে এবং অপহরনকারী ভিকটিমকে নিয়ে কৌশলে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছে।
এরুপ তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০/০৫/২০২০ তারিখ চট্রগ্রাম জেলার অভিমুখে রওনা করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকারী দল চট্রগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা এলাকায় তার টিমসহ উপস্থিত হইয়া অভিযান পরিচালনা করে সীতাকুন্ড থানা পুলিশের সহায়তায় থানাধীন বারো আউলিয়ার মাজার সংলগ্ন এলাকা এলাকা হইতে গত ২২ মে /২১ তারিখ একটানা ৭২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে আসামী সোহাগ হোসেন(১৯), পিতা-আব্দুর রহিম, সাং-দীঘলডাঙ্গী, থানা ও জেলা-নীলফামারীকে গ্রেফতার করে।
প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরন করে ভিকটিম ও আসামীকে চট্রগ্রাম জেলা থানা হইতে নীলফামারী থানায় নিয়ে আসা হয়।
২৩/০৫/২০২১ তারিখ ভিকটিম মাহির মেডিকেল পরীক্ষাসহ বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন করা সহ গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।