অবৈধ নিয়োগে ফুঁসছে গণপূর্ত অধিদপ্তর : বিসিএস পাশ না করা সত্বেও সরাসরি ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরি !! আদালতের রায় উপেক্ষা !! ‘ব্যাকডেট কেলেঙ্কারি’তে কোটি টাকার বেতন লুট !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  বাংলাদেশের গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঘটেছে নজিরবিহীন এক কেলেঙ্কারি। বিসিএস পরীক্ষায় পাশ না করেই শেখ পরিবারের ছত্রছায়ায় কয়েকজন প্রকৌশলী সরাসরি উচ্চতর পদে চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের রায় উপেক্ষা করে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং ‘ব্যাকডেট’ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার বেতন হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

শেখ পরিবারের আশীর্বাদে ভাগ্য বদল :  ২০১২ সালে সমীরণ মিস্ত্রি, জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান, মো. আবু তালেব, নাফিজসহ কয়েকজন প্রকৌশলী বিসিএস পরীক্ষা বাইপাস করে শুধুমাত্র ভাইভা দিয়ে ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ পান। সাধারণ কর্মকর্তা যেখানে নবম গ্রেড থেকে শুরু করেন, সেখানে শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্টরা পরীক্ষাহীনভাবে উচ্চ পদে ঢুকে পড়েন।

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পদোন্নতির যুগান্তকারী উৎসব করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন   :   গণপূর্তের বিসিএস কর্মকর্তারা নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদোন্নতি দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছন। ফলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তির্ন না হওয়া সত্বেও অবৈধরা হয়ে যান সিনিয়র, অথচ প্রকৃত বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তারা পড়ে থাকেন পিছনে।


বিজ্ঞাপন

অবৈধ অর্থ বানিজ্যে ব্যাকডেট নাটক :  এক চাকরি, দুই বেতন: : সবচেয়ে আলোচিত নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০১২–১৬ পর্যন্ত তিনি বিআইডাব্লিউটিএ-তে চাকরি করলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরে দেখানো হয় ব্যাকডেট যোগদান। আদালতের স্থগিতাদেশ চলাকালীন সময়ে যোগদান দেখানো শুধু আদালত অবমাননাই নয়, বরং রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটের মহাকাব্য রচনা করে অবৈধভাবে সরকারি অর্থ হজম করার হীনমন্যতা দেখিয়েছেন। চার বছরের এককালীন বকেয়া বেতন গণপূর্ত থেকে তোলা হয় ঠিক একই সময়ে তিনি বিআইডাব্লিউটিএ থেকেও বেতন নিচ্ছিলেন। অর্থাৎ, একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানের বেতন ভোগ অনেকটা গাছের এবং তলার দুটোই চমৎকার ভাবে হজম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে !


বিজ্ঞাপন

আসন্ন বিচার ও শ্বাসরুদ্ধকর প্রতীক্ষা  : গত বছরের ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা ফের হাইকোর্টে মামলা করেছেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মামলার শুনানি। প্রশ্ন একটাই— বিচার হবে, নাকি আবারও অদৃশ্য শক্তির ছায়ায় চাপা পড়বে এই মহা দুর্নীতির কাহিনি?


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *