মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ দ্বিধাবিভক্ত

আন্তর্জাতিক জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ দ্বিধাবিভক্ত, তবে মতৈক্যে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সাধারণ পরিষদে ছয় সপ্তাহ আগে মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি আছে। একটি গ্রুপ হচ্ছে আসিয়ান এবং আরেকটি কোর গ্রুপ। আসিয়ানের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। কোর গ্রুপ মনে করে, এখনই একটি রেজুলেশন নেওয়া উচিত। মিয়ানমার নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ একেবারে স্পষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করাকে আসিয়ান দেশগুলো সমর্থন করে না। অপরদিকে কোর গ্রুপ সামরিক সরকারকে নিন্দা জানায় এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চায়।’
ভলকান বজকির বলেন, ‘তবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে হবে। আমার অনুপস্থিতিতে দুই গ্রুপ আলোচনায় বসেছিল। আমি ফিরে গিয়ে খোঁজ নেবো। আমি দুই গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে একমত হওয়ায় চেষ্টা করবো। কারণ, এটি শুধু মিয়ানমারের ইস্যু নয়, বরং সারা বিশ্বের ইস্যু। আমি আশাবাদী, মিয়ানমার ইস্যুতে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো।’
ভাসান চরের প্রশংসা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘ভাসান চর আমি যেতে পারিনি, কিন্তু এ বিষয়ে একটি ভিডিও দেখেছি। আমি এরইমধ্যে বলেছি, সংকটকালীন সময়ে উদ্বাস্তুদের কীভাবে সহযোগিতা করতে হয়, ভাসান চর সেটির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি কক্সবাজার যাচ্ছি এবং সেখান থেকে মিয়ানমারকে একটি বার্তা দেবো।’
ভলকান বজকির বলেন, ‘জাতিসংঘের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের প্রতি আমি সমর্থন করি। যাতে করে অবাধে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় এবং জনমত গঠনে সহায়তা হয়। জনগণ যেন সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
বেলারুশে যা ঘটেছে সেটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমি অবিলম্বে ওই সাংবাদিকের মুক্তি চাই বলে তিনি জানান।


বিজ্ঞাপন