পরীমনি বেঁচে গিয়েও জীবিত নেই

অপরাধ বিনোদন

আজকের দেশ রিপোর্ট : অভিনেত্রীদের সম্পর্কে আমাদের অনেকগুলো ভ্রান্ত ধারণার একটি হলো, এরা সবাই খারাপ। এদের আমরা মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার আগে তাদের পেশা নিয়ে মাথা ঘামাই। আমরা ভুলে যাই ‘এদেশে একজন নারীর বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বিচার চাওয়ার অধিকার আছে’।


বিজ্ঞাপন

একজন নারী যখন বিচার চাইলো, তখন তার পক্ষে না গিয়ে যে কি করে, তার পেশা কি সেটা মুখ্য হয়ে গেলো। আমার প্রশ্ন হলো- সে অভিনয় করে বলে তাকে হত্যার হুমকি দিলে সে বিচার চাইতে পারবে না? তার নিরাপত্তা কি সে চাইবে না? কারো ঘরে খাবার না থাকলে ক’জন আছি তার বাসায় গিয়ে হাড়ির খবর নেই?


বিজ্ঞাপন

প্রত্যেকের ঘরে মা-বোন আছে, একজন নারীকে নিয়ে যখন অসম্মান করে কথা বললেন তার মানে এই না যে আপনি বড় পুরুষত্ব দেখালেন, বরং ভাবেন সে যাকে নিয়ে, যার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেও একজন পুরুষ। সেই পুরুষই তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছে, হত্যা করতে চেয়েছে। সে তারই বিচার চেয়েছে। এই বিচার চাওয়া কি তার ঠিক হয়নি?

আমরা এখনো প্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ, সোহেল চৌধুরী হত্যার বিচার পাইনি। কেন পাইনি জানেন? সঠিক প্রমাণ না থাকার কারণে। শুরু থেকেই এগুলো আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তা আর হয়নি। ভক্তরা ঠিকই জানেন এগুলো আত্মহত্যা নয়, হত্যা ছিলো। একবার ভাবেন তো ৫-৬ দিন যদি আগে ঘুম থেকে যদি খবরের শিরোনাম দেখতে পেতেন ‘পরীমনী আত্মহত্যা করেছেন-’ বিশ্বাস করতে পারতেন?

পরীমনি যেভাবেই হোক সে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রথমে তারা আশেপাশের লোকদের জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছে সেখানে বিচার না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদ সম্মেলন করে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। বিচার চেয়েছেন, তাতে সে ভুলটা করেছে টা কি? বিচার চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। সে যার (ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সে অপরাধী কিনা তার রায় তো দিবে আদালত।

কিন্তু আমার একদল সে অভিনয় করে বলে, একজন অভিনেত্রী বলে, সে বিচার চাইলো বলেই তাকেই কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলাম। ওই যে সে অভিনয় করে বলে, সেই অপরাধী। কিন্তু যে ধর্ষণচেষ্টা করলো বা হত্যার হুমকি দিলো সে নির্দোষ! ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট দেখে তাই মনে হয়। আর সেই সঙ্গে ভাবি- ঢাকা বোর্ড ক্লাবে ঘটে যাওয়া সেদিন পরীমনি বেঁচে গিয়ে জীবিত রইলো না।