নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোর উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। বিভিন্ন লঞ্চঘাটে পন্টুন গ্যাংওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। নদীভাঙ্গন এ অঞ্চলের মুল সমস্যা।বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে। নদী পারাপারে মানুষের অনেক সমস্যা হয়। ঝুকি নিয়ে মানুষ নদী পার হয়। ঝুকিপূর্ণ এলাকায় সি-ট্রাক দেয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। নদী ভাঙ্গণের ফলে অনেক লঞ্চঘাটে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে সরে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, পানপট্রি, বদনাতলী, আউলিয়াপুর ও হাজিরহাট (দশমিনা) লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সমস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আব্দুল মতিন এবং প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মাঈদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গলাচিপা লঞ্চঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। সেখানে টার্মিনাল নির্মাণ করে সেটিকে নদীবন্দরের উপযোগি করে তোলা হবে। তিনি বলেন, মানুষের সেবাটাই আমাদের কাজ।
উল্লেখ্য, গলাচিপা লঞ্চঘাটটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়। ঘাটটি পৌরসভার রামনাবাদ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে একটি ডাবল ডেকার ও গলাচিপা থেকে রাঙ্গাবালী রুটে দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা-গলাচিপা নৌপথের দূরত্ব ২৭৪ কিলোমিটার।
পানপট্টি লঞ্চঘাটটি ১৯৮৭ সালে চালু হয়। ঘাটটি গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। ঘাটটিতে একটি পন্টুন স্পাড ও জেটি নির্মাণ করা হলেও নদী ভাঙ্গনের কারণে জেটিটি নদীতের বিলীন হয় যায়। বর্তমানে ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে এবং নতুন করে একটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে গলাচিপা-রাঙ্গাবালী রুটে দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
হাজিরহাট লঞ্চঘাটটি ২০০৪ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার সদরে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার দু’টি এবং দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
বন্যাতলী লঞ্চঘাটটি ২০০৯ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার একটি এবং তিনটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটটি ২০১৯ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে উঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে ডাবল ডেকার একটি এবং দু’টি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।