নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি : সোমবার ২১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ এর সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার এলাকায় তদারকি করা হয়, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

তদারকিকালে ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা টানানো ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধে ০৪ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযানে সহায়তা করে সিলেট এপিবিএন এর একটি টিম, বাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সুনামগঞ্জ ক্যাব। জনস্বার্থে এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫ টি মনিটরিং টিম কর্তৃক ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৩৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২,৪৬,০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

ঢাকা মহানগরীতে ৪ টি মনিটরিং টিম কর্তৃক পাইকারী ও খুচরা বাজার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। রাজধানীর বাজার ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল টিমের সাথে বাজার তদারকি করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান ও প্রনব কুমার প্রামাণিক ।

রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে জেলা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, ফার্মেসী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে সবজি, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিকমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা সঠিকভাবে প্রদর্শন, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রয়,পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের সাথে বিক্রয় রসিদের গরমিল, সঠিক ওজন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ, নকল পণ্যসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তদারকিকালে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত, সরবরাহ স্বাভাবিক ও পণ্যমূল্য স্থিতিশীল পরিলক্ষিত হয় এবং সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ডাল,চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। এসময় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে ফার্মেসীসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দোকানকে জরিমানা আরোপ করা হয় এবং এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।

বাজার তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্পলেট বিতরণ এবং করোনাকালে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, করোনা মহামারীকালে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অধিদপ্তরের বাজার তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভোক্তাস্বার্থ সুরক্ষায় নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন,ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং যৌক্তিক ও ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় করতে সম্মানিত ব্যবসায়ীগণকে উদাত্ত আহবান জানান তিনি। এছাড়াও তিনি নিত্যপণ্যের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের জন্য ভোক্তা-ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।