শেখ রাজীব হাসান, টঙ্গীঃ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস জানালেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল ১২ ঘটিকার সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানার চারপাশের সড়কের জলাবদ্ধতা পরিদর্শন শেষে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ডা, মাসুদ, ওয়ার্ড মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়, যুবলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা শাহীন, দ্বীন মোহাম্মদ নিরবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সরজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে টঙ্গী পূর্ব থানার চারপাশে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তা স্ব-চোখে দেখার জন্য আবর্জনা ও নর্দমা যুক্ত হাটু পরিমান পানিতে নেমে মহাসড়কসহ থানার চারপাশের রাস্তাঘাট পরিদর্শন করেন গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি। এসময় সরকারি হাসপাতালে নব নির্মিত বিভিন্ন সড়ক, চলমান ডাস্টবিনের কাজ ও হাসপাতাল মসজিদের ইমামের খোজখবর নেন। এসময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও চিকিৎসকদের খোজ খবর নেন।
এসময় মতিউর রহমান মতি বলেন, আজকের এই শুভ দিনে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পুরণে যতদিন বেচে আছি গরীব, মেহনতি সাধারণ সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। সঠিক ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় সৃষ্ট জলবদ্ধতায় সাধারণ মানুষের যে দুর্ভগ তা নিজে না দেখলে অনেকে হয়তো বুঝতে পারবে না। অনেকে আমাকে বলেছে এই নর্দমার পানিতে যেন না নামি। আমি যদি না নামতে পারি তবে সাধারণ মানুষ কতটা কষ্ট করে তা বুঝবো কি করে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুরের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। চিকিৎসা নিতে আসা গরীব, অসহায় ও সাধারণ মানুষের কষ্ট যেন না হয়, তাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে হাসপাতালের রাস্তা উচু করা, ময়লা ফেলার ডাস্টবিন, টয়লেটসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের ব্যাবস্থা করেছে। এসকল কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সকল সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের কল্যানে কাজ করেছে এবং আগামী দিনগুলোতে মানুষের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সব সময় অসহায় বস্তিবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছে। অথচ আজকের এই শুভদিনে প্রিয় বস্তিবাসীদের উচ্ছেদে তিনি অত্যান্ত কষ্ট পেয়েছেন।