নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মোট করোনা আক্রান্তের ০.৪৮ শতাংশ বাংলাদেশে। বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। এশিয়ায় বাংলাদেশ আছে ৮ম অবস্থানে। ডব্লিউএইচও আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তত ৪০টি জেলা রয়েছে উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে। যার মধ্যে ১৫টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও ৬টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত ১৪ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিশ্লেষণের পর সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও এ তথ্য দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব জেলায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি সেগুলোকে অত্যাধিক মাত্রার সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব জেলায় শনাক্তের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সেগুলো চিহ্নিত হচ্ছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেখানে শনাক্ত ৫ শতাংশের কম সেগুলো কম ঝুঁকিপূর্ণ। সে হিসেবে বাংলাদেশের ৪০টি জেলা সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁঁকিতে আছে।
এর মধ্যে খুলনা বিভাগের অন্তত ১০ জেলা আছে অত্যধিক সংক্রমণ ঝুঁকিতে। একই রকম ঝুঁকিতে আছে ঢাকা বিভাগের ৭, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর ৬ করে জেলা। তবে রাজধানী ঢাকাকে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে বিবেচনা করা হচ্ছে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।
অত্যধিক মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, চাঁদপুর, ফেনী, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো ঢাকা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও রাঙামাটি। তবে এ তালিকা তৈরির সময় বান্দরবান জেলাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কারণ বান্দরবানে এখনো শনাক্তের হার অনেক কম।