লাইসেন্স বাতিল ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি
বিশেষ প্রতিবেদক : ভেজাল, নিম্নমানের, মেয়াদউত্তীর্ন, ফর্মূলারী বহির্ভূত কেমিকেল উপাদানে ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের দায়ে আয়ূর্বেদিক ঔষধ কোম্পানী অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাষ্ট্রিজ এর কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। ১৭জুন ২০১৯ তারিখে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত জুরাইনে কোম্পানীর কারখানা, ৯টি গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে। পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ৬ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান কালে কারখানা ও গোডাউনে পোকা মাকড়ের বাসা বাধাঁ হার্বসের স্তুপ, নিষিদ্ধ কেমিকেলের সন্ধান পায়। কারখানার পরিবেশও অত্যন্ত নোংরা। ভেজাল নিম্নমানের ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করনের অভিযোগে এর পূর্বেও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনির্বানের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে চালু করেছে। এবারও কারখানা চালু করার জন্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
রঙ, স্যাকারিন, লতাপাতা ভিজানো পানি আর নিষিদ্ধ ঘোষিত ফর্মূলা বহির্ভূত কেমিকেল যোগে ঔষধ উৎপাদনের অভিযোগ অনির্বান এর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই। কিন্তু অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থের দাপটে সব কিছু ম্যানেজ করে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। অনির্বানের যৌনশক্তি বর্ধক ঔষধ “সিলগোল্ড” বিক্রি করেই মূলত প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে। সিলগোল্ডে ফর্মূলা বহির্ভূত কেমিকেল সিলডেনাফিল সাইট্রেড ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় তা প্রমানিত। সিলগোল্ড সহ অনির্বানের সকল ঔষধ বিক্রয় করা হয় গ্রাম ও চরাঞ্চলে। অশিক্ষিত অসচেতন মানুষ তাদের ভেজাল ঔষধ বিক্রির টার্গেট। অনির্বানের মালিক সেলিম মো: শাহজাহান এই ভেজাল ঔষধের কারবার করে শুন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। এখন তিনি অনির্বান ছাড়াও এস এস ল্যাবরেটরী ও প্যারিলা ল্যাবরেটরিজ এর মালিক। ভেজাল ঔষধ বিক্রয় করে জনস্বাস্থ্যেও ক্ষতি করে ঢাকার জুরাইনে একাধিক বাড়ির মালিক। নামের সাথে ডা. টাইটেল যোগ করেন। তিনি পাস করা কোন এমবিবিএস ডাক্তার, হাকিম বা কবিরাজ নয়। তার পাসপোর্টে নামের সাথে ডা. কি ভাবে যুক্ত হলো, সনদ কে দিল এটা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন।
জনস্বার্থে কেবল অনির্বান নয় তার মালিকানাধীন প্যারিলা ও এসএস ল্যাারবেটরীজের লাইসেন্স বাতিল ও জনস্বাস্থ ক্ষতি করে উপার্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যানে ব্যয় করা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।