নিজস্ব প্রতিনিধি : মাঝ নদীতে গতির প্রতিযোগিতা ও এক লঞ্চের সঙ্গে আরেক লঞ্চের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় দুই লঞ্চেরই রুট পারমিট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। লঞ্চ দুটি হচ্ছে- এমভি ইয়াদ ও গ্লোরি অব শ্রীনগর-২।
বৃহস্পতিবার ১৫ জুলাই এ দুটি লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে দুই লঞ্চের চার চালককে শোকজ করেছে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতর। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মঞ্জুরুল কবীর আজকের দেশকে বলেন, দুই লঞ্চের চার চালকের বিরুদ্ধে পাল্লাপাল্লির ঘটনায় কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে।
আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রুট পারমিট প্রদান ও বাতিল করে বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটির যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির আজকের দেশ কে বলেন, গত ৯ আগস্ট বুড়িগঙ্গা নদীতে দুই লঞ্চের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও ধাক্কাধাক্কির একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।
এভাবে লঞ্চ পরিচালনায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ওই ভিডিওর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় লঞ্চ দুটির রুট পারমিট সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, এমভি ইয়াদ ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর বালিয়াতলী ও গ্লোরি অব শ্রীনগর-২ লঞ্চ ঢাকা থেকে ভোলার ঘোষেরহাট রুটে চলাচল করে। গত ৯ আগস্ট ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) থেকে ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয় লঞ্চ দুটি। কিছু পথ অতিক্রমের পর দুই লঞ্চ প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। এতে যাত্রীরা আতংকিত হয়ে চিৎকার করেন।
কিন্তু বড় দুর্ঘটনা ছাড়াই লঞ্চদুটি নিরাপদে গন্তব্যে যায়। ওই ঘটনায় লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করল বিআইডব্লিউটিএ।
নৌ-পরিবহন অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, দুই লঞ্চের মাস্টার ও ড্রাইভারের সনদ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সনদ স্থগিত ও নৌ আদালতে মামলা দায়ের হতে পারে।