রিয়াজের মন খারাপ!

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : কাজ পাগল নায়ক রিয়াজের হাতে কম কাজ থাকাতে তার এই মন খারাপ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি নিজে!


বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে অনুসন্ধানে উঠে এসেছিল ‘৯৯সালে শাবনূর শাকিবের সাথে ২টি ( গোলাম, নাচনেওয়ালী) সিনেমা নেয়াতেই নাকি এই মন খারাপ ছিল!


বিজ্ঞাপন

নিজের কাছের মানুষ বা জুটির মানুষ যখন অন্যদের সাথে কাজ নিত তখন স্বাভাবিকভাবেই একটু খারাপ যে কারোরই লাগে বা লাগার কথা! কারন মানুষ বলে কথা বা মানুষের মন পাথরের তৈরি না।

তবে রিয়াজের ক্ষেত্রে মনে হত বিষয়টা বেশি কাজ করত! হয়ত রিয়াজ একটু বেশি আবেগী কিংবা ইমোশনাল ছিলেন! তাই তার বেশি খারাপ লাগতো।
হতে পারে এই কাটিংটা মিথ্যা বা বাড়িয়ে লেখা কিংবা ভাবনা ছিল!

কিন্তু শাবনূর যখন নসিমন সিনেমার জন্য কলকাতাতে ইউনিটের সাথে থাকতে না চেয়ে ফেরদৌসের মধ্য দিয়ে কলকাতার সবচেয়ে বড় হোটেলে উঠে এবং দেশী তারকা হিসেবে ফেরদৌসের সাথে শাবনূরের সৌজন্যমূলক আচরণ করাটাকেও রিয়াজ নিতে পারেনি।

আর তাই তাদের মধ্যে মান অভিমানের অনেকগুলো কারনের মধ্যে এটাও একটা কারন ছিল। ওই যে একটু ইমোশনাল বলে!

এরপর ইন্ডাস্ট্রির অনেকের মুখ বন্ধ করতে অনেকটা বাধ্য হয়ে যখন মান্নার সাথে কাজ করতে রাজি হয়েছিল শাবনূর তখনও আবেগী রিয়াজের আবেগ অনেক বেশি কাজ করেছিল। যেগুলো অনেকটাই স্বীকৃত কোনো মুখরোচক সংবাদের মধ্যে ছিল না।

তবে ফেরদৌস ও মান্না তখন শাবনূরের জন্য যুতসই ছিল এবং মান্না ভাল অবস্থানে ছিল তাই হয়ত বেশি আবেগ কাজ করেছে। যেটা খুবই স্বাভাবিক!

কিন্তু শাকিব খান কেনো?
সে তখন সাদামাটা একজন উঠতি মুখ ছিল তবুও রিয়াজের মন খারাপ কেনো হয়েছিল!

অথচ শাবনূরের মন রাখার পাশাপাশি সেই ‘৯৮থেকে রিয়াজ তামান্না,সিমলা, পূর্ণিমা, রিয়া সেন, রাভিনা ( যার সাথে সুপার ডুপার হিট গানের সিনেমা এসেছিল। সেই তার সাথে ২টা সিনেমা নেয়া ছিল),মৌসুমী ( বোনের চরিত্র) ও পপি ( যার মত তখনকার জনপ্রিয় বা প্রথম সারির নায়িকার সাথে পরপর ৩টা সিনেমা হাতে নিয়েছিল) সহ আরও অনেকের সাথে কাজ করে যাচ্ছিলো বা হাতে নিয়েছিল কাজ। যেখানে শাবনূরের কোনো সমস্যার কথা স্বীকৃতভাবে আসেনি।

কারন শাবনূর ওসবকে হয়ত কেয়ার করত না কিংবা এক হৃদয়হীনা ছিলেন! তাইতো তার সাথে যখন ফেরদৌসের জুটি ব্যস্ততাতে রাত-দিন পার করছিলো কিংবা অনেকেই তখন ফেরদৌসকে শাবনূরের প্রিয় নায়ক হিসেবে আক্ষায়িত করত।

সেই ফেরদৌসও কিন্তু মৌসুমী পরিচালনার সিনেমাতে বলতে গেলে প্রথমবারের মত জুটি হয়ে কাজ শুরু করে বা করতে পারে!

অন্যদিকে ‘৯৮ সাল থেকে শাবনূর তার একটি জুটিকে প্রতিষ্ঠা করতে সে সময়ে তার বিপরীতে রিয়াজকে ছাড়া অন্যদের নেয়া থেকে বিরত থাকেন বা কাজ করেন। কারন এতে রানিং জুটির সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায়, তাছাড়া আমরা দর্শকেরাও মাল্টি স্বাদ নেয়ার পক্ষে না।

মূলত আমরা দর্শকেরা একটা জুটিকে স্বাদহীন করা ছাড়া একই তারকার সাথে অন্য জুটিকে সেভাবে মেনে নেই না! আর ক্যারিয়ারের এসব সূক্ষ্ম বিষয়গুলো শাবনূর খুব ভাল বুঝত।

তাই সে সময়ে অন্যদের সাথে কাজ না নিয়ে জুটিকে প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু রিয়াজকেই সাথে নিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে রিয়াজ তখন ব্যস্ত ও সিনেমার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবার সাথেই বিচ্ছিন্নভাবে সিনেমা হাতে নিয়ে গেছে।

আর যখন ‘৯৯সালে শাবনূর- রিয়াজ প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় ভালভাবে তখনই শাবনূর এবার অন্যদের সাথেও কাজ টুকটাকভাবে নিতে থাকে। যেখানে মাসুদ শেখের সাথে ১টা, শাকিবের সাথে ২টা নেয়। তারপর ফেরদৌসের সাথেও কিছু কাজ নিতে থাকে।

যার কেউই তখন বড় নায়ক বা উল্লেখযোগ্য নায়ক ছিল না। তবুও দেখা গেছে আবেগী রিয়াজ এদের সাথে কাজ নেয়াতেও কষ্ট পেত!