নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার মডস্ জোন-৭ এর আওতাধীন পাইপ লাইন স্থাপনের দরপত্রে জাল অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে কার্যাদেশ পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেসার্স জামান ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এম. নাজমুল হুদা(তিনি নিজেকে বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক জিএস দাবী করেছেন) ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানাগেছে, ওয়াসায় পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ পাওয়ার পূর্বে মেসার্স জামান ট্রেডার্স বিসিআইসি’র একটি দরপত্রে অংশগ্রহন করে। দরপত্রে গোপালগঞ্জ পিডাব্লিউডি থেকে ৯২ লাখ টাকা কাজের একটি অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেন। দরপত্রে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে কাজ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রদেয় কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। গোপালগঞ্জ পিডাব্লিউডি তে ৯২লাখ টাকার অভিজ্ঞতা সনদ প্রেরণ করলে, সেখান থেকে জানানো হয় তাদের প্রতিষ্ঠান এধরনের কোন সনদপত্র জামান ট্রেডার্স কে প্রদান করেনি। ফলে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ জামান ট্রেডার্সের কার্যাদেশ বাতিল করে তাদের প্রদেয় পেঅর্ডার বাজেয়াপ্ত করে।
পিডাব্লিউডি’র উক্ত জাল অভিজ্ঞতা সনদ ওয়াসার দরপত্রের সাথে জমা দিয়ে কাজ বাগিয়ে নিছে।জাল সনদ প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে জামান ট্রেডার্স কার্যাদেশ পেল, এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসা মডস্ জোন-৭ এর নিবার্হী প্রকৌশলী কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জামান ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আবিদুর রহমান অনুর মতামত জানার জন্যে বারবার তাকে টেলিফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। আবিদুর রহমান অনুর প্রতিষ্ঠান জামান ট্রেডার্সের নামে বরাদ্দ পাইপ লাইন স্থাপনের কাজটি সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে মো: জাকির হোসেন করছেন বলে জানাগেছে।
এদিকে ঢাকা ওয়াসার মত জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের পাইপ লাইন স্থাপনের মত গুরুত্বপূর্ন কাজ কিভাবে কাদের যোগসাজসে বাগিয়ে নিয়েছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টগণ।