*হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি *শাহ আমানতে অবতরণ করতে পারেনি ৩টি ফ্লাইট
আজকের দেশ ডেস্ক : ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১০টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজি উপজেলায় অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার সীমান্তবর্তী অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটে প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলার ২টি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। ফ্লাইট ২টি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ফ্লাইট শাহ আমানতে নামতে না পেরে কক্সবাজারে অবতরণ করেছে।
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত : টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার সীমান্তবর্তী অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই চার উপজেলার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় লাখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা এলাকার মূল সড়ক এবং তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর এলাকার সড়কটি পানির নিচে থাকায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে সুনামগঞ্জ সদর দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির এবং বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলাগুলোতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সাড়ে তিন হাজার শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ওই খাবার বিতরণ করা হবে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় পানি বেড়েই চলেছে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আহাদ বলেন, আমরা বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক এলাকায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সকলস্তরের মানুষ নিয়ে এরইমধ্যে সভা করেছি। যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
বৈরী আবহাওয়ায় শাহ আমানতে অবতরণ করতে পারেনি ৩টি ফ্লাইট : বৈরী আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলার ২টি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। ফ্লাইট ২টি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ফ্লাইট শাহ আমানতে নামতে না পেরে কক্সবাজারে অবতরণ করেছে। গতকাল বুধবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেলা ১টার পর থেকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিনটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করতে পারেনি। সকালের ফ্লাইটগুলো সমস্যায় পড়েনি।
ভারি বর্ষণে লালমনিরহাটে পানিবন্দি ৬ হাজার পরিবার : তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটে প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে। স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টি। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ৬ হাজার পরিবার। কিছু পরিবার গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নৌকা বা ভেলায় তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি যত বাড়ছে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এতে বড় সমস্যায় পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। চারদিকে পানির কারণে গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়েছেন চরাঞ্চলের খামারি ও চাষিরা। উজানের ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসোড এর বন্যা সহনশীল প্রকল্পের ফিল্ড কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তা চরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এতে হাতীবান্ধা উপজেলায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসোডের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। চরাঞ্চলের পানিবন্দি খেটে খাওয়া মানুষগুলো শিশুখাদ্য ও নিরাপদ পানির সমস্যায় পড়েছেন। দুই দিন পানিবন্দি থাকলেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ বা শুকনো খাবার তাদের কাছে পৌঁছেনি বলে অভিযোগ করেন পানিবন্দি পরিবারের মানুষগুলো। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলের পাসাইটারী গ্রামের মানিক মিয়া, আজিজুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে তারা দুই দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছেন। তিস্তার তীরে বাসবাস করায় সামান্য পানি বাড়লেই তাদের পানিবন্দি হতে হয়। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও দেখা মেলে না জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের। বড় বন্যা হলে শুকনো এলাকা দিয়ে তিস্তা নদী দেখে সবাই চলে যান। কারণ চরাঞ্চলে পৌঁছাতে হলে নৌকায় উঠতে হয়। এ কারণে তাদের খবর অনেকেই রাখেন না। হাতীবান্ধা উপজেলার চর ধুবনী গ্রামের আফাজ উদ্দিন ও আবদুর রহমান জানান, তিস্তার পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি যুক্ত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে তাদের মত অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ত্রাণের জন্য পানিবন্দিদের তালিকা সরকারের বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হচ্ছে। গোবর্দ্ধন চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পানি ওঠায় শিক্ষার্থীরা আসেনি। ফলে দুই দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, তার উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন তিস্তা নদীর অববাহিকায়। তিস্তায় সামান্য পানি বাড়লেই কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কেউ পানিবন্দি হয়ে থাকলে তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। এ উপজেলায় ত্রাণ মজুদ না থাকলেও চাহিদা দিলে জেলা প্রশাসন দ্রুত পৌঁছাবেন বলে দাবি করেন তিনি। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শুধুমাত্র সদরের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ৩০/৩৫টি পরিবার জলাবদ্ধতায় থাকার খবর রয়েছে তার কাছে। এ ছাড়া বন্যা বা পানিবন্দির কোনো তথ্য নেই জেলা প্রশাসনে।
ফেনীতে বাঁধ ভেঙে ১২ গ্রাম প্লাবিত : ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১০টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজি উপজেলায় অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এই ভাঙন দেখা দেয়। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের কমপক্ষে ১০টি স্থান ভেঙে গেছে। ফুলগাজি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জানান, মুহুরী নদীর ফুলগাজী বাজার গার্ড ওয়াল তলিয়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে বাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সকালে বাজার থেকে পানি নেমে গেলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ফুলগাজীর উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, বরইয়া ও জয়পুর গ্রাম অংশে মুহুরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, পুকুর প্লাবিত হয়েছে। এদিকে পরশুরাম উপজেলার উত্তর শালধর অংশে দুটি, ধনিকু-া, নোয়াপুর, দৌলতপুর ও কিসমত ঘনিয়া মোড়াসহ অন্তত ছয়টি অংশে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পানি উঠেছে শালধর, ধনিকু-া, চিথলিয়া, রাজষপুর, মালিপাথর, নিলক্ষী, দেড়পাড়া, জয়পুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, দূর্গাপুর, রামপুর ও পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া গ্রামে। এসব গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তা-ঘাট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত্র মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রকৌশলী জহির বলেন, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক : টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানের পানি সরে যাওয়ায় পুরোদমে যান চলাচল শুরু হয়েছে। গত ৫ দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি রাস্তায় ধসে পড়লে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার থেকে ওই দুই উপজেলার সঙ্গে পুনরায় সড়ক যোগাযোগ চালু হয়। বান্দরবান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ জানান, বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়ে কয়েকদিন যান চলাচল ব্যাহত হলেও গতকাল বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বান্দরবান শহর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনদের সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া জেলার ৭টি উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।