বেলাল হোসেন চৌধুরী : অনুপ্রেরণা সংক্রামক! তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছি। আমি বলেছি, “আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি”। বড় মানুষের বিনয়ও বড়। আসলে দেশপ্রেম অনুপ্রাণিত হয়েছে। দেশ সেবার পারস্পর্য স্পন্দিত হয়েছে।
এ অনুপ্রেরণার আধার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। যশোর ৫৫ পদাতিক বিভাগের জিওসি। গত সপ্তাহে যোগদান করেছেন। আজ আমার টীমসহ তাঁর সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। সাক্ষাৎপর্বে সাথে ছিলেন এডিসি জাকির হোসেন ও জেসি শহীদুল ইসলাম।
জিওসি হিসেবে যোগদানের পর আমরাই প্রথম তাঁকে পুস্পিত স্বাগত জানিয়েছি। একটি পারস্পরিক আনন্দপূর্ণ অংশীদারিত্বে উভয় দপ্তরের কর্মকর্তারা যারপরনাই খুশী।
আমাদের সাম্প্রতিক সংস্কার, আগামি পঞ্চাশ বছরের স্থাপনা-পরিকল্পনাসহ বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব, বাণিজ্য, চেকপোস্ট, নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষেপে তাঁকে অবহিত করেছি। তথ্যগুলো তাঁর জন্য নতুন ছিল। “চেকপোস্ট দালালমুক্ত” হওয়ায় সন্তোষ ব্যক্ত করেন।
কমিশনারের শুভেচ্ছা স্মারক তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি। কাস্টম হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি সাগ্রহে গ্রহণ করেন। প্রত্যাশা খুব শীঘ্রই আমরা তাঁকে বেনাপোলে দেখব।
সহকর্মীরা বলছিলেন, অনেকদিন পর একজন ধীমান, তেজস্বী, দেশপ্রেমী, উদ্যমী, সপ্রতিভ জেনারেলের দেখা পেলাম! উদ্ভাবনী বিষয়গুলো তিনি মন দিয়ে শোনেন। আমাদেরকে স্বভাবসুলভ উদ্বুদ্ধ করেন।
সংলাপের সকল পর্যায়ে বেনাপোল কাস্টম হাউস, এর বাণিজ্য, চেকপোস্ট ব্যবহারকারী ও বেনাপোলবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আমার সহকর্মীরা তাঁর মতো একজন উর্ধতন সামরিক আমলার সামগ্রিক সম্ভাষণ, স্বাতন্ত্র্য, মমত্ববোধ ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ!
বেনাপোলকে অপরাধমুক্ত, চোরাচালানমুক্ত, ঝুঁকিমুক্ত, সুষ্ঠু ব্যবসার পরিবেশসহ আলোকিত ও আদর্শ সীমান্ত বাণিজ্য নগরী নির্মাণে তার বলিষ্ঠ সমর্থন চেয়েছি।
দেশ, মাটি মানুষের স্বার্থে তিনিও কাজ করছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের দায়িত্বে নিয়োজিত এ সংস্হাকে সবরকম সমর্থন দিয়ে যাবেন।
সময়, সাক্ষাত, সৌজন্য, স্যুভেনির ও অপার অনুপ্রেরণার জন্য স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। জিওসি হিসেবে যশোরে তাঁর অসাধারণ মেয়াদকাল ও সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি!
রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডার সমৃদ্ধায়নের পাশাপাশি দেশ ও মানুষের সেবার মহামননে আমাদের যুগপৎ পথচলা চলবে।