নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ নিয়ে এসে ঢাকায় জিয়াউর রহমানের নামে কবর দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি এবং স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তিকে নিয়ে রাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে বিএনপি। লাশ নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনার পর জিয়াউর রহমানের লাশ খুঁজে বের করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাঙ্গুনিয়ায় তিনটি কবরের মধ্য থেকে একটি লাশ জিয়াউর রহমানের নামে ঢাকায় এনে কবর দেওয়া হয়।’

রবিবার (২৯ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়কমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘কারও কবর যদি অন্যের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তা অনৈসলামিক। দলিল বলে আপনারা প্রতারণা করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা ক্ষান্ত হয়নি। খলনায়কদের নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়ার আহ্বানে নয়, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে তখন কর্মরত, সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করার জন্য যাচ্ছিলেন। সোয়াত জাহাজ থেকে যেন অস্ত্র খালাস করতে না পারে, সে জন্য রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। বাধাগ্রস্ত হয় তিনি ফেরত আসেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর সমগ্র বাংলাদেশে তা প্রচার করা হয়। অনেকে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা ২৭ মার্চ মনে করেন, একজন সেনা সদস্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করালে একটি যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব মনে হবে। পরে ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে ভুলভাবে পাঠ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে নিজের নামে ভুলভাবে ঘোষণাপত্রটি উপস্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে ‘অন বিহাফ অব’ কথাটি যুক্ত করে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। সেই রেকর্ড রয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের বেয়ারা নুরুল হক জীবন হাতে নিয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়ে তাহলে নুরুল হককে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্যই বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্যই। মালয়েশিয়া আমাদের দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেক এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০/১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দারিদ্র্যের হার কমেছে। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে এটি হয়েছে।’