নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন করে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বেড়ে আবারও বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছে ঘরে ফেরা অপেক্ষায় থাকা মানুষ। দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে তাদের। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এনায়েতপুরের ব্রক্ষন গ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত শুক্রবার রাতে পাঁচটি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরো বসতবাড়ি। যমুনা নদীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সদরের সাতটি, কাজীপুরে ১০টি, বেলকুচিতে ছয়টি, চৌহালীতে সাতটি এবং শাহজাদপুরে নয়টি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, তাঁত কারখানা, ধান, পাট, বীজতলা, বিভিন্ন সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা সিরাজগঞ্জের কৃষকরা। সময়মতো চারা না পাওয়া গেলে আমন চাষ বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের বন্যায় জেলার ৩৯টি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা, ৩৮৮টি গ্রামের তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮৫টি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার জানান, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ২৪ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ২৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর থেকে বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।