নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও, প্রতি বছরই আয় বেড়ে চলেছে বিএনপির। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে আয় বেড়েছে দলটির। তবে সে তুলনায় খরচ কম হওয়ায় এ বছর বিএনপির উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি টাকারও বেশি। মঙ্গলবার বিকেলে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
জানা যায়, ২০১৮ সালে বিএনপির আয় ছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। এ বছর দলটি ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত দলের তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, দলের সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও এককালীন অনুদান ছিল দলটির আয়ের উৎস। আর খরচের খাতে ছিল দলীয় কার্যালয় পরিচালনার বিভিন্ন খরচ, ইফতার মাহফিল, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনি ব্যয়, নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা ও বন্যায় ত্রাণ কাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। আর ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা ব্যয় দেখায় দলটি। ফলে ওই বছর ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে।
এর আগে, ২০১৬ সালে দলটি আয় করে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। এই হিসেবে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা আয় বেশি হয়েছে।
এর আগের তিন বছর বিএনপি ঘাটতিতে ছিল। ২০১৫ সালে বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি দেখায়। ওই সময় দলটির আয় দেখানো হয় এক কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয় এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।
২০১৪ সালে দলটি বিভিন্ন খাতে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখায় তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। ওই সময় আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।
২০১৩ সালে বিএনপি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখায়। সেই সময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের আগেই আগের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব (অডিট রিপোর্ট) ইসিতে জমা দিতে হয়। সে হিসাবে আগামীকাল বুধবার এই হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন।