নড়াইল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের সাফল্য

অন্যান্য এইমাত্র

!! নগদ প্রতারক চক্রের নিকট থেকে ৫৭,০০০ টাকা উদ্ধার ও প্রকৃত মালিককে উক্ত টাকা উদ্ধার!!


বিজ্ঞাপন

মোঃ রফিকুল ইসলাম ঃ নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) এর অফিসে গত ২৭ জানুয়ারি, ২২ তারিখ একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন যে, গত ২৬ জানুয়ারি, ২২ তারিখ অনুমান দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটের সময় বাদীর দোকান (মিনা এন্টারপ্রাইজ) এর ব্যাবসায়িক মোঃ জিয়াউর রহমান কে অর্ধেক দামে সিমেন্ট ক্রয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ১২০০০ পরে ২০০০০ এবং ২৫০০০ টাকা নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে ।


বিজ্ঞাপন

টাকা পাঠানোর পর থেকে প্রতারক চক্র তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
অনেক চেষ্টা করে তাদের সহিত যোগাযোগ করিতে না পেরে, টাকা হারিয়ে মোঃ জিয়াউর রহমান দিশেহারা হয়ে পড়েন।

পুলিশ সুপার তার আকুতি অনুধাবন করে বিষয়টি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইল এর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিমুল কুমার দাসকে হারানো টাকা গুলি দ্রুত উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইলে কর্মরত এএসআই (নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন উক্ত অভিযোগের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা গুলি উদ্ধারের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ শুরু করেন।

তদন্তকালীন সময়ে নগদ এজেন্টের ঠিকানা মোঃ রাসেল মাহমুদ (৩২), পিতা-আব্দুর মজিদ, সাং-খোলাডাঙ্গা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর চিহ্নিত করে বর্ণিত ৫৭,০০০ টাকা উদ্ধার করেন।

পুলিশ সুপার, নড়াইল এর নির্দেশক্রমে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইল এর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শিমুল কুমার দাস তার কার্যালয়ে ডেকে অভিযোগকারীর হাতে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বুধবার ২ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটের সময় ৫৭,০০০ টাকা তুলে দেন।

এ সময় অভিযোগকারী হারোনো টাকাটি পেয়ে আনন্দিত হয়। সে পুলিশ সুপার এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।