নিজস্ব অর্থায়নে মালিবাগ মৌচাক উড়ালসেতু আলোকিত করলো দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

অন্যান্য এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আলোকিত হল মালিবাগ-মৌচাক উড়ালসেতু। নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধানে উড়ালসেতুটির দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ৩.৩৪৫ কি.মি. অংশে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে আলোকিত করা হয়।


বিজ্ঞাপন

বুধবার সন্ধ্যায় ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন উড়ালসেতু অংশে ল্যাপটপে একটি ক্লিকের মাধ্যমে উড়ালসেতুটি আলোকিতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


বিজ্ঞাপন

উদ্বোধন পরবর্তী আয়োজনে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “উড়ালসেতুটি করার সময় আলোকিত করা হয়নি। সেটি আলোকিত করার জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, আমরা নিজ অর্থায়নে এই কাজটি করবো। সেই প্রেক্ষিতে আমরা মালিবাগ-মৌচাক উড়ালসেতুটিতে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে আলোকিত করেছি। এতে আমাদের খরচ হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।”

এই সেতুটি আলোকিতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “এখানে বাতি না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির উপর বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, অনেক অঘটন ঘটেছে। উড়ালসেতুটিতে অনেকের প্রাণহানিও ঘটেছে। তাই, ঢাকাবাসীর জন্য আমরা এই আলোকিতকরণ কাজটি সম্পন্ন করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

স্মার্ট এলইডি বাতি বলার কারণ জানতে চেয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমরা এখানে একটি বোতাম চাপার সাথে সাথেই উড়ালসেতুটির পুরো ৩.৩৪৫ কিলোমিটার আলোকিত হয়ে গেছে এবং নগর ভবনে আমাদের যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আছে সেখান থেকে এটা তদারকি করা যাবে। এখানে কোনও বাতি নষ্ট হয়ে গেলে সাথে সাথেই আমরা দেখতে পাবো – – কোন বাতিটি নষ্ট এবং বাতিটি আমরা চালু করে দিতে পারব। বাতিগুলো দ্রাঘিমাংশ এবং অক্ষাংশ অনুযায়ী সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সাথে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে আর নিভে। এজন্যই এগুলোকে আমরা স্মার্ট বাতি বলছি। আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ যে সকল জায়গায় এখন থেকে বাতি নষ্ট হবে, সেখানে আমরা এই স্মার্ট এলইডি বাতি সংযোজন করবো।”

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা মেরিনা নাজনীন
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।