২ টাকায় দু লাখি চিকিৎসা! কেরল যাওয়ার দরকার নেই। দু’টাকা খরচেই কলকাতায় মিলবে পঞ্চকর্ম থেরাপি

Uncategorized স্বাস্থ্য

  • আজকের দেশ ডেস্ক ঃ রাজাবাজারের শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠ, শ্যাম বাজারের জে বি রায় হাসপাতাল । এই দুই সরকারি আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে বিশ্বমানের পঞ্চকর্ম ইউনিট।

    অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নেতৃত্বে জুনিয়র চিকিৎসকরা এখানে থেরাপি দেন। পঞ্চকর্মের পাচ কর্ম হল –বমন, বিরেচন, বস্তি, রক্তমোক্ষণ, নস্য।

    এছাড়া ৮০ রকমের উপকর্ম রয়েছে। অনেকটা রাগ-রাগিনীর মতো। সব থেরাপিই দেওয়া হয় রাজাবাজার, শ্যামবাজারে।

    কী কী রোগের চিকিৎসা : গুলেনবেরি সিনড্রোমের মতো বেশ কিছু স্নায়ুরোগে পঞ্চকর্ম খুবই কার্যকর।

    রিওম্যাটয়েড আথ্রাইটিস, অস্টিও আথ্রাইটিস, সোরিয়াসিস, বন্ধ্যাত্ব–সহ বহু রোগ সারিয়েছে এই বৈদিক অস্ত্র। তবে এখানে ভর্তি হতে গেলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। দশ-বারো দিন থাকতে হবে। এখানে আলাদা কেবিনের ব্যবস্থা নেই। তবে, হাসপাতালের ওয়ার্ড যথেষ্ট পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন।

    থেরাপির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হয়। তবে কয়েকটি বিরল অসুখের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওষুধ আনাতে হয়। আসলে আয়ুর্বেদে ৩ লক্ষ ৩০০ ওষুধের উল্লেখ আছে।

    যদিও বাজারে খুব বেশি হলে ৩০০ ওষুধ পাওয়া যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে কম্বাইন্ড থেরাপি চালু ছিল। ১৮৩৫ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পর আয়ুর্বেদের উপর রাজকমচারীদের নির্ভরতা কমে।

    তখন থেকেই শুরু হয় দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার অবক্ষয়। বাজপেয়ী সরকার এসে চাকাটা উল্টোদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হয়। অনেকের ধারণা, কেরলের পঞ্চকর্ম বোধহয় ভিনগ্রহের।

    বিদেশী মহিলাদের ছবি সুশোভিত বিজ্ঞাপন, সরকারি পৃষ্ঠাপোষকতা, পর্যটনের সঙ্গে আয়ুর্বেদকে মিশিয়ে দেওয়া। সবকিছুর জন্য কেরল আর পঞ্চকর্ম সমার্থক হয়ে উঠেছে। কিন্তু, মাথায় রাখতে হবে আয়ুর্বেদের আঁতুরঘর কিন্তু এই বাংলা।

    রাজাবাজারের শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের পাশাপাশি গ্রে স্ট্রিটের বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদ কলেজ হাসপাতালেও বিনামূল্যে এই থেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত সল্টলেকের আয়ুর্বেদ গবেষণা কেন্দ্রেও নিখরচায় বিশ্বমানের শোধন ক্রিয়া করানো হয়।