মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : “জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময় আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৮ আগষ্ট বিকাল ৫:৩০ ঘটিকায় গোপালগঞ্জ সালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্ব করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ আল মাসুদ খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক জেলা আমীর ও এমএইচ খান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, গোপালগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার।
এ ছাড়াও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট সোলায়মান সিদ্দিকী মুফতি মুহাম্মদ শফিকুল আলম অধ্যাপক হায়দার আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা তসলিম হোসাইন সরকার সালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি আবু সাঈদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মত্যাগের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সভা-সমাবেশের অধিকার ছিল না, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল। এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, আগামী নির্বাচনে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশে বহু দল ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু কেউই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। একবার জামায়াতে ইসলামীকে সুযোগ দিলে, তারা ইনশাআল্লাহ একটি কল্যাণমূলক ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করবে—যেখানে থাকবে না দুর্নীতি, অর্থ পাচার, কিংবা মতপ্রকাশে বাধা।
বক্তারা খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগের আদর্শ তুলে ধরেন এবং জনগণকে দাড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াতকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান—যাতে তারা শাসক নয়, সেবক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে। সভা শেষে সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।