বিশেষ প্রতিবেদক : নৈরাজ্য থামছেই না সিএনজি অটোরিকশার। যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছেমত ভাড়া হাঁকেন তারা। কয়েক দফা ভাড়া বাড়িয়েও বন্ধ করা যায়নি এমন স্বেচ্ছাচারিতা। যাত্রীদের চাহিদা মতো গন্তব্যে যেতে রাজি না হওয়ার হাজারো অজুহাত তো আছেই। সঙ্গে চলে ‘খুশি’ করার নামে বাড়তি ভাড়া আদায়। কমলাপুরে ট্রেন থেকে নেমেই সিএনজি চালকদের হাতে এমন নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের, জড়াতে হয় বাকবিত-ায়।
মিটার ব্যবহারের কোনো বালাই নেই। একই রকম ভাড়া হাঁকেন সব চালকই। নগরজুড়ে এমন জুলুম মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন নিরুপায় যাত্রীরা।
নগরীতে সাধারণ সবুজ অটোরিকশার বাইরেও চলে ধুসর রং-এর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অটোরিকশা। মিটার নেই, যাত্রী পরিবহনের অনুমতিও নেই। ইচ্ছেমত ভাড়া হেঁকে তারাও তুলছেন যাত্রী।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর কারণে কমেছে যাত্রী, আগের মতো চাহিদা নেই সিএনজি অটোরিকশার, তারপরও মিটারে চলেন না চালকেরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা উত্তরণে গঠন করতে হবে কোম্পানিভিত্তিক সমন্বিত সিএনজি সেবা।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক বলেন, কোম্পানিভিত্তিকভাবে সমন্বিত করা না গেলে এই খাত থেকে নৈরাজ্য কখনোই যাবে না।
এমন স্বেচ্ছাচারের পেছনে চালকদের রয়েছে বহুবিধ যুক্তি, রয়েছে পুলিশি হয়রানির অভিযোগও।
সমস্যার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন চাকার এই যানকে শৃঙ্খলায় আনতে তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।
বিআরটিএ’র রোড সেফটি পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট অভিযান চলে এ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৮১ ভাগ অটোরিকশা চালকই যাত্রীদের কাছে বখশিশ দাবি করেন।