!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৭টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ অনুমোদন ব্যতিরেকে অবৈধভাবে ডেভেলপার কোম্পানীকে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন প্রদানের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) মো: ফখরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এবং উপ-সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন ও মুহাম্মদ হামেদ রেজার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম বৃহস্পতিবার ৯ জুন, একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। টিম সরেজমিনে উক্ত দপ্তরে পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক টিম এর কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে চউক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অভিযোগে বর্ণিত ভবনটি নির্মাণ শুরু করার সময়ে কোনরূপ তদারকি করা হতে বিরত থেকে তাদেরকে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের সহযোগিতা করেছেন। বর্তমানে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে অভিযোগ দেয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট চউক কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে নির্মিত ভবনটি ভেঙ্গে অপসারণ করার জন্য নোটিশ প্রদান করেছেন। অভিযোগটি প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
কয়েছ, পিএস ( সংসদ সদস্য সিলেট-২) ও গোলাম কিবরিয়া গংদের বিরুদ্ধে ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে টি.আর, কাবিটা, গভীর নলকূপ স্থাপনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে কিংবা আংশিক কাজ করে অর্থ লুটপাটের বিষয়ে দৈবচয়ন ভিত্তিতে অভিযোগের সঠিকতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেট এর সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে উক্ত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার সমন্বয়ে গঠিত টিম কর্তৃক সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযোগে ১৪টি প্রকল্পের কাজের অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তম্মধ্যে অভিযানকালে দৈবচয়ন ভিত্তিতে (১) সাদীপুর ইউনিয়নের বেড়ারাই মানিক চৌধুরীর বাড়ী হতে সিরাজ মিয়ার বাড়ীর নিকট ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ (২) কালনীর চর গ্রামের বশির মিয়ার বাড়ী হতে আকবরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ (৩) কাগজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ সরেজমিনে যাচাই করে দেখা যায় যে, গত কয়েক মাস আগে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযানকালে উপস্থিত গণ্যমান্য বক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাজ করা হয়েছে মর্মে সঠিকতা পাওয়া যায়। বর্তমানে রাস্তার দুপাশে বন্যার পানি ঢেউয়ের কারণে এবং অতিবৃষ্টির ফলে মাটির কাজের কিছুটা ক্ষয়-ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী টিম কর্তৃক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।