মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা সিএন্ডবি চৌরাস্তায় অবস্থিত মোর্শেদা ক্লিনিক যেনো কসাই খানা বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগী পরিবারের। গত (১০ আগষ্ট) মোর্শেদা ক্লিনিকে তহমিনা বেগম নামের এক রুগী জরায়ু সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মহিষা পাড়া গ্রামের দিনমজুর পলাশ খানের স্ত্রী তহমিনা বেগম এবং পরের দিন (১১ আগষ্ট) রাত ১১ টায় তহমিনা’র অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয় এবং অপারেশন করেন,ডাক্তার তাজরুল ইসলাম তাজ,এ্যানেস্ট্রিসিয়া ডাক্তার নেওয়াজ মোর্শেদ ও ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেন সহ নার্স,আয়া।অপারেশন চলাকালীন সময়ে ওই ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেন রুগীর স্বামী পলাশ খানকে জানান, আপনার স্ত্রীর এপেন্ডিসাইটিস সমস্যা আছে ওটা ও অপারেশন করতে হবে? এবং আরো ১০ হাজার টাকা খরচ হবে?এ কথা শুনে পলাশ খান হতাশা হয়ে পড়েন, অবশেষে পলাশ খান নিরুপায় হয়ে বলেন,আমি গরীব মানুষ,কম করে নিয়ে অপারেশন টা করে আমার স্ত্রী কে বাচান। অপারেশন শেষে পলাশ খান ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেনকে অপারেশন ব্যাবদ সর্ব মোট ২৮ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন এবং রোগীর ছাড় পত্রে ১০ হাজার টাকার ওষুধ ও লিখে দেন। ২১ আগষ্ট ২০২২ তারিখ ওই ক্লিনিক থেকে রোগীকে ছাড়পত্র প্রদান করেলে,রুগীর স্বজন’রা রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর রুগী ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে,তাৎক্ষণাৎ রুগীকে আবারও ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান,তখন ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেন নয় ছয় বুঝ দিয়ে রোগীকে ক্যাথেটার পরিয়ে পাঠিয়ে দেন বাড়িতে। পরবর্তীতে পলাশ খান তার স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। পরে রুগী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে তাতেও প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। পুনরায় যে সমস্ত ডাক্তারকে দেখানো হয়েছে,তাদের মধ্যে,ডাক্তার মায়ারানী বিশ্বাস,হাসনাত,মোয়াজ,এনাদের দেখানোর পর বিভিন্ন প্রকার পরিক্ষা করানো হয়। ডাক্তার ও বিভিন্ন প্রকার পরিক্ষা,ওষুধসহ খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা। সর্ব মোট খরচ হয় ৭৯ হাজার টাকা। অন্যত্রে পুনরায় অপারেশনের জন্য পরামর্শ পেয়েছে, অপারেশন ও ওষুধ ব্যাবদ খরচ হবে ১ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা। পলাশ খান আরো বলেন,আমি একজন গরীব দিন মুজুর,দিন আনি দিন খাই,আমি লাভের উপর টাকা এনে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করাচ্ছি। ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের ভুল চিকিৎসার কারণে,আমার স্ত্রী মৃত্যু শয্যায়,ওই ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তার আমার স্ত্রীর চিকিৎসার কোন প্রকার দায়ভার না নেওয়ার কারণে ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশায়,আমি নড়াইল ২ মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা,মহাপরিচালক স্বাস্থ্য ভবন ঢাকা,জেলা প্রশাসক নড়াইল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোহাগড়া নড়াইল,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লোহাগড়া নড়াইল,বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। উল্লেখিত কর্মকর্তা গনের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর অপারেশনের টাকা ও ওষুধের টাকা ওই ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারকে বহন করার জন্য জোর দাবি জানান। এবং এ ধরনের অপচিকিৎসা করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা না করার জন্য ও অনুরোধ করেন।