নিজস্ব প্রতিবেদক : চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হলো বর্ষীয়ান রাজনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলকে। শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাজা হয়। এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয়ার পর তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক অঙ্গণের সহকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
কথা ছিল চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিরে যোগ দেবেন জাতীয় সংসদের চলমান পঞ্চম অধিবেশনে। অধিবেশন শুরু হলো তিনিও ফিরলেন সেই সংসদ প্রাঙ্গণে কিন্তু শেষবারের মতো-নিষ্প্রাণ দেহে।
শনিবার সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের মরদেহ নিয়ে আসা হয় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে। গার্ড অব অনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের এ অগ্রসেনানিকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতীয় সংসদের সদস্য রাজনৈতিক অঙ্গণের বিভিন্ন স্তরের নেতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রয়াতের প্রথম জানাজা।
এরপর রাষ্ট্রপতির পক্ষে কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব, শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের হুইপ ও সংসদে বিরোধীদলসহ অন্যান্য নেতারা। পরে তার প্রয়াণে গণমাধ্যমের কাছে স্মৃতিচারণ করেন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
তোফয়েল আহমেদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বাদল।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা একজন অত্যন্ত দক্ষ সংগঠককে হারালাম।
হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিদায় জানান, গণতন্ত্রকামী এ জাসদ নেতাকে। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে সৃষ্টি হলো বড় শূন্যতা।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, তার এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য তিনি যতটুকু পেরেছেন করেছেন।
গেল বৃহস্পতিবার ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবী ছেড়ে যান মঈন উদ্দিন খান বাদল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফনের কথা রয়েছে।