বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর গণশৌচাগারের বেশিরভাগ ‘নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন’ হওয়ায়, সেগুলো ব্যবহারে চরম অনীহা নারীদের। এতে বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, মূত্রনালীর সংক্রমণজনিত জীবাণুবাহিত নানা রোগে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের সংক্রমণ থেকে কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে।
কেনাকাটা করতে সকাল ১০টার দিকে এসে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিউমার্কেটে ছিলেন কামরুন। টয়লেটে যেতে হবে, এ ভয়ে ছয় ঘণ্টা তরল কিছু খাননি তিনি। তার মতো এমন ভুক্তভোগী আরো অনেকে।
বেসরকারি সংস্থা একশন এইড’র ২০১৭ সালের এক গবেষণা বলছে, (গ্রাফিক্স) ৯৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন না। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের মতে, পর্যাপ্ত ও সঠিক স্থানে টয়লেট নেই। ৯৬ শতাংশ নিরাপদবোধ করেন না। সুবিধার অভাববোধ করেন ৫৪ শতাংশ। কেবল পাঁচ শতাংশ নারী টয়লেট ব্যবহার করেন, তাও আবার পুরুষের সহায়তায়।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রানি দাস বলেন, টয়লেট ব্যবহারের জড়তার কারণে নারীরাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। তাই এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
আর জীবাণুবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানালেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম।
জীবাণুবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাসহ, নারীবান্ধব আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট নির্মাণের ওপর জোর দিলেন তারা।