নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ শনিবার ১৫
এপ্রিল, সকাল ১১ টায় রংপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রংপুর মিলনায়তনে ড. চিত্রলেখা নাজনীন জেলা প্রশাসক, রংপুর এর সভাপতিত্বে “বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদ্রঋণ ঘোচায় দৈন্য আনে সুদিন” স্লোগান নিয়ে “পল্লী মাতৃকেন্দ্র ও পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সুবিধাভোগীদের মাঝে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান” অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে ৪০ জন সুবিধাভোগীদের মাঝে ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার নগদ টাকা এবং ৮ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর বিভাগ মো: হাবিবুর রহমান; ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ, মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম; রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সায়ফুজ্জামান ফারুকী; জেলা পুলিশ সুপার, রংপুর মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী; চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, রংপুর সদর, রংপুর মোছাঃ নাছিমা জামান ববি; অতিরিক্ত পরিচালক, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুর মোঃ মোশাররফ হোসেন; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রংপুর সদর, রংপুর মোছাঃ নুর নাহার বেগম; মেয়র, রংপুর সিটি কর্পোরেশন, রংপুর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ উপস্থিত ছিলেন ডা. মোঃ দেলোয়ার হোসেন বকুল, আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রংপুর মহানগর; অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রংপুর জেলা শাখা; বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু সাবেক কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর মহানগর ইউনিট কমান্ড এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সায়ফুজ্জামান ফারুকী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টীকে এগিয়ে নিতে বিশেষ করে নারী জনগোষ্টীকে সাবলম্বী করতে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রম অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম ৫৪টি খাতে প্রদান করা হয় এবং বর্তমানে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা। আর এরজন্য ৫% সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।
উক্ত হারে ঋণ আদায়ের পরিমাণ ৮৪-৯০%। তাই ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম গতিশীল করতে অর্থাৎ ১০০% এ উন্নীত করতে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনিটরিং বিষয়ে উল্লেখ করেন এবং রংপুরের এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এই সার্ভিস চার্জ ৫% একেবারে মৌকুফ করে দেয়া অথবা যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া বানিজ্য মন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রংপুরের সন্তান হিসাবে এই এলাকার জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী জনগোষ্টীকে এগিয়ে নিতে বিশেষ খেয়াল রাখবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।