কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞার বিরুদ্ধে কেন এই মিথ্যা ভুয়া রিপোর্ট? কাদের স্বার্থে এই অপ-প্রয়াস ?

Uncategorized অপরাধ


মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে-ই মাসুদুর রহমান ভূঞা কথা দিয়েছিলেন মানবিক পুলিশ হিসেবে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিনির্মাণের। নগরবাসীর দোরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার করে বলেছিলেন, ‘আমরা চাই পুলিশ একটা আদর্শ সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক।’ সেদিন থেকে এখন অবধি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টেছে দু’বার। ঘুরে দাঁড়ানোর শপথে বলীয়ান কেএমপি জনকল্যাণে সময়ের সঙ্গেই এগিয়ে গেছে প্রতিটি ক্ষণ।

অনেক নাগরিক সমস্যা সনাক্ত করে সমাধান করেছেন কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা। মিনিট, ঘন্টা হিসাব করে কাজ করেছেন অবিরাম।

নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে অন্তহীন দুর্ভোগ-ভোগান্তি উপাখ্যানের যানজট নিরসনে রেখেছে প্রশংসনীয় ভূমিকা। সড়কে ফিরিয়েছেন শৃঙ্খলা। সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে নিজ টিমের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করেছেন। ভালো কাজে পুরস্কার, মন্দ কাজে তিরস্কার করেছেন।

কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম তরান্বিত করার মাধ্যমে পুলিশ-জনতা সম্পর্কের সেতুবন্ধ রচনা করেছেন। মহানগরীর বাড় বাড়ন্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অনেক ক্লুলেস, চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন। মাদক ও জুয়ামুক্ত নগরী গড়তে শুরু থেকেই তার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অটুট রয়েছে।

কোন চাপের কাছে মাথা নত করেননি। এতোসব ইতিবাচক কর্মযজ্ঞে নিন্দুকেরাও ‘টিম কেএমপি’তে মোহিত হলেও স্বার্থহানি হওয়ায় একটি মহল রীতিমতো তেলেবেগুনে যেন জ্বলে উঠেছে।

এক্ষেত্রে একটি গণমাধ্যমের কথিত অনুসন্ধানী নিউজকে ঘিরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টার মাধ্যমে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা’র তিল তিল করে গড়া পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল রীতিমতো ভেস্তে গেছে।

স্থানীয় জনসাধারণ এমন ভিত্তিহীন ও উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত খবরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্থানীয় সাংবাদিক নেতারাও বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন, নিন্দা জানিয়েছেন। একটি বিশেষ মহলের আখের গুছানোর চেষ্টায় কেএমপিকে অপপ্রচারের নিশানা করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও।

ভুল, অসত্য ও ফরমায়েশী এমন খবরাখবর বিভ্রান্তি ছড়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশও (কেএমপি)।

প্রতিবাদ লিপিতে কেএমপি বলেছে, ‘খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের একটি স্বনামধন্য ইউনিট। এক্ষেত্রে কেএমপি কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, সহকারী কমিশনার ও আট থানার অফিসার ইনচার্জদের জড়িয়ে পত্রিকাটিতে যে খবর প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম পিপিএম-সেবা স্বাক্ষরিত প্রতিবাদে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে উল্লেখ করা হয়, ‘কেএমপিতে বর্তমানে জুয়া, মাদক, দেহ ব্যবসা এবং পুলিশের ব্লাকমেইলিং সংক্রান্ত কোন স্পট নেই। এ বিষয়ে সর্বদা থানা এলাকায় গোয়েন্দা বিভাগ ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক নিবিড় মনিটর ছাড়াও প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

কে বা কারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এবং হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এহেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহারের যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবাদ বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কেএমপি।

কেউ কেউ বলছেন, এমন গোয়েবলসীয় কায়দায় সুযোগ সন্ধানী মহলটি শুধুমাত্র খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম নয় গোটা খুলনার মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

এই শিল্প ও বন্দরনগরীটি ইতিহাস-ঐতিহ্যমণ্ডিত। কিন্তু যেভাবে কোন রকম তথ্য উপাত্ত বা প্রমাণ ছাড়াই জুয়ার নগরী তকমা দেওয়া হলো সেটি নেতিবাচক ব্র‍্যান্ডিং’র একটি উদাহরণ হয়ে থাকলো। সাইবার ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে গোটা দেশেই খুলনার ভাবমূর্তি সঙ্কট তৈরি করলো অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী মহল।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, ‘জুয়া, মাদকসহ সব রকম অপরাধ নির্মুলে মাননীয় কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা’র দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্ন কাজের মাধ্যমে স্থানীয় সাধারণ নাগরিকের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীতিতে জায়গা করে নিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেখানে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে পুলিশকে উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটি সবার কাছে পরিস্কার।’

একই রকম কথা বলেন কেএমপির গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি নুরুজ্জামান। কালের আলোকে তিনি বলেন, ‘কেএমপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে একটি বিশেষ মহলের অপপ্রচার হালে পানি পায়নি।

এমন অপসাংবাদিকতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিস্কার। নিজেদের পারপাস সার্ভ না হওয়ায় কেএমপি ও কমিশনারের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপতৎপরতা নিয়ে পেশাদার সাংবাদিক সমাজের নেতারা তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র কমিশনার একটি অপরাধমুক্ত নগরী উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যান ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি।

উদার, মানবিক ও অত্যন্ত সরল জীবন-যাপনকারী এই মানুষটি নিয়েও নির্লজ্জ মিথ্যাচার স্থানীয় বিবেকবান প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ তৈরি করেছে।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *