নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আজ ১ মে। মহান মে দিবস। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হয়। আমাদের সকল অর্জনে, আমাদের সকল বিনির্মাণে শ্রমিকদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। দেশের উন্নয়নে, দেশের অগ্রযাত্রায় শ্রমিকদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ব রাখে। আজ এই মহান দিনে সারা পৃথিবীর সাথে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে শ্রমিকদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রমিকদের ভূমিকা ছিল অনন্য। বিপুলসংখ্যক শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। স্বাধীন দেশে শ্রমিকরা বাঁচার মতো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা পাবে, এটা বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন। তবে তার মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ-বঞ্চনার অবসান। তিনি সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির অন্যতম হিসেবে ঘোষণা করেন।
১৯৭২ সালের ১ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদান করেন। তিনি উক্ত ভাষণে বলেন-
“আমরা বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে সমাজতান্ত্রিক ভিত্তিতে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অতীতে কতিপয় সুবিধাভোগী দেশের সমুদয় সম্পদের সিংহভাগ ভোগ করত। বর্তমান ব্যবস্থার চূড়ান্ত পর্যায়ে কৃষক, শ্রমিক, দরিদ্র ও বঞ্চিত লোকেরা উপকৃত হবেন। এই জন্যই সরকারের ওপর অত্যন্ত গুরুভার সত্ত্বেও আমরা চলতি বৎসরের ২৬ মার্চ আমাদের অর্থনীতির কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ব্যাংক-বীমা, সমগ্র পাট, বস্ত্র ও চিনি শিল্প, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও বৈদেশিক বণিজ্যসহ শিল্প কারখানার একটি বিরাট অংশ জাতীয়করণ করেছি। পুরাতন পুঁজিবাদী পদ্ধতির স্থলে সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েমের পথে এটা একটা দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি পুরোপুরিভাবে গড়ে তোলার কাজ আমাদের সামনে পড়ে রয়েছে। এখানেই শ্রমজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
বঙ্গবন্ধুর সেই আহবানে সাড়া দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
আজ মহান মে দিবসে সকল শ্রমিকদের প্রতি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।