নিজস্ব প্রতিবেদক : একদিকে দেশজুড়ে সড়কে নৈরাজ্যে, অন্যদিকে মন্ত্রীদের কণ্ঠে আপসের সুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগে কোনো বাড়াবাড়ি করা হবে না। আইনের কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা আবারো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজধানীতে আলাদা দুটি অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।
১৭ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইন পুরোদমে কার্যকরের পরেই জেলায় জেলায় অবরোধে যায় পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। পরে সেই পালে হাওয়া দিয়ে অবরোধের ডাক দেয় ট্রাক আর পিকআপ ভ্যান মালিক শ্রমিকরা।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেয়া হলেও মানেনি বাস মালিক শ্রমিকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকেই অচল ছিলো মহাখালী আর গাবতলী বাসস্টান্ড।
এমন বাস্তবতায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষের উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সড়ক আইন নিয়ে শ্রমিকদের সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইনে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা যাচাই করে দেখারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা আইনটি প্রয়োগ করার আগে যথেষ্ট সময় দিয়েছি কথাবার্তা বলে নেওয়ার। সব কিছু শেষে আমাদের কাছে ৯ দফা দাবি করা হয়েছে। সেটা যোগাযোগমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেছেন এটা তিনি দেখবেন। যেখানে অসঙ্গতি আছে সেটা ব্যবস্থা নেবেন।
একইদিন বিকেলে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে আইন বাস্তবায়ন নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশ্বস্ত করেন, আইন প্রয়োগে অতিরিক্ত কিছু করা হবে না।
তিনি বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে বাড়াবাড়ি করা হবে না। কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে সমন্বয় করা হবে।
সড়ক পরিবহন আইন পাসের এক বছর পর এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে প্রণয়ন করা হয় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮।