মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে স্বাধীন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ৯ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন দুর্ঘটনাস্থলে, দুইজন ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। গুরুতর আহত আছে আরও তিনজন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল বাসেদ জানান, মাওয়াগামী স্বাধীন পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসের উপরে গিয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসের আরোহীরা সবাই আত্মীয়-স্বজন ছিল। তারা লৌহজং এর কনকসার ইউনিয়নের ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলম জানান, নিহতদের মধ্যে বর রুবেলের বাবা আ. রশিদ বেপারী (৭০), বোন লিজা (২৪), ভাগনী তাবাসসুম (৬) ও অপর ভাগনী রেনু (১২), ফুপা কেরামত বেপারী (৭০), বরের প্রতিবেশী মফিজুল মোল্লা (৬৫), বরের ভাইয়ের ছেলে তাহসান (৪) ও মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪০) নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এদের মরদেহ আছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, আমরা ঢাকায় চারজনকে রেফার্ড করেছি। এছাড়া, আহত আরও ১০ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জনের মরদেহ আছে। কিন্তু, ঢাকায় নেয়া চারজন আহতের মধ্যে দুইজন মারা যায় বলে বিকেলে জানান মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। কিন্তু, সন্ধ্যায় তিনি জানান, ঢাকা নেয়া আহত চারজনের মধ্যে দুইজন নয়, একজন মারা গেছেন। তার নাম রুনা (২৪)। তিনি বরের বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী। এছাড়া আহত জাহাঙ্গীর মারা যাননি। তিনি চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। তাদের দাফন ও যাতায়াত ভাড়া বাবদ এ টাকাটা দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।