পাহাড়ি ভাতার মতোই দেশের আরও ১৬টি হাওর-দ্বীপ-চর উপজেলার দুর্গম এলাকার সরকারি চাকরিজীবীরা পাবেন বিশেষ ভাতা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্গম বিবেচনায় দেশের এসব অঞ্চলে কর্মরত সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বেশেষ বেতন কাঠামোতে এ ভাতা চালু করেছে সরকার।
গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘হাওর-দ্বীপ-চর’ ভাতা চালুর নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে নির্দেশনার অনুলিপি সকল সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও (ইউএনও) পাঠানো হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের ইটনা ও মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজিবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এবং ভোলার মনপুরাকে হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
এছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১৫ সালের বেতন কাঠামো অনুযায়ী, এসব উপজেলায় কর্মরত সরকারি চাকুরেদের জন্য পাহাড়ি ভাতার অনুরূপ ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ- ২০১৫ এর ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে পাহাড়ি ভাতার বিষয়ে বলা হয়েছে, পার্বত্য জেলাসমূহের জেলা সদর ও সদর উপজেলায় নিযুক্ত সকল কর্মচারীর জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা এবং অন্যান্য উপজেলার জন্য মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা প্রদেয় হবে।