মারুফ সরকার : ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তিমূলক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা।
পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার ৪ জুন সন্ধ্যার পর কাফরুলে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ সেখানে গেলে একপর্যায়ে স্থানীয়দের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এসময় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এদিকে, ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে মারধর ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবক পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। তার দাবি, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ইসলামবিরোধী একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে কে বা কারা। পরে এটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন তার পেটে ছুরিকাঘাত করে।
পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয়দের বুঝিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংঘর্ষে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিশন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মুহিত উদ্দিন জানান, আমরা স্থানীয়দের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ উত্তেজনা তৈরি করছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাকে আমরা কাস্টডিতে নিয়েছি। এমন পোস্টের পক্ষে তো কেউ নয়। আমি নিজেও নই। কিন্তু, এ ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ানো বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের নেতৃত্বে কিছু মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন । বিভিন্ন মিছিলটি ঘটনাস্থলের আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে এবং নৌকার পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।