নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসায় গৃহকর্ত্রী রহিমা বেগম ও গৃহকর্মী সুমি আক্তার খুনের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি হত্যাকা- মনে হওয়ায় মামলাটি নেয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় রহিমা বেগমের পালক পুত্র সোহেলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। হত্যাকা-ের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতে বৃদ্ধার মেয়ে রশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আকতার হোসেন বলেন, ‘রহিমা বেগম মারা গেছে’, সোহেলই প্রথম ফোন করে এ সংবাদ রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদাকে জানায়। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে হত্যার ঘটনায় সোহেলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
পুলিশ জানায়, রহিমা বেগম বিবাহিতা থাকলেও মিরপুরের এ বাড়িতে তিনি একা থাকতেন। সোহেল মাঝে মাঝে থাকতো। রোববার পিরোজপুরের মেয়ে সুমী রহিমা বেগমের বাড়িতে কাজ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে হত্যাকা-ের ঘটনায় সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল ও বাড়ি থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। তারা এ ঘটনার পৃথকভাবে তদন্ত করছে।