নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তিনি সেখানে বেশ ভালো আছেন। গণভবনে বুধবার জাতীয় কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের গডমাদার হচ্ছে খালেদা জিয়া। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এর চেয়ে বড় সন্ত্রাস আর কী হতে পারে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধ দিয়ে খালেদা জিয়া মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই অবরোধ-হরতাল এখনও তোলেনি। তার হুকুমে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে, কত বোন বিধবা হয়েছে! সে তো জেলে আছে, বেশ ভালো আছে। তার জন্য আবার কারও কারও মায়াকান্নাও দেখি।
২০তম জাতীয় সম্মেলন পরবর্তী তিন বছর পর অবশেষে ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর অন্তর অন্তর বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গত তিন বছরে একবারও আহ্বান করা হয়নি।
সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতির এক পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সভাপতিম-লির সদস্যরা ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, আবুল মাল আবদুল মুহিত, তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিম-লির সদস্যদের মধ্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কর্ণেল(অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর উপস্থিত ছিলেন। বাকি সদস্যরা সামনের দিকে উপস্থিত ছিলেন
গঠনতন্ত্রের ১৭ (ক) ধারায় উল্লেখ আছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি জাতীয় কমিটি থাকিবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা হইতে একজন করিয়া সদস্য স্ব স্ব জেলা ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল কর্তৃক জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হইবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক মনোনীত ২১ জন সদস্য এবং উপর্যুক্তভাবে নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যবৃন্দকে লইয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটি গঠিত হইবে। জাতীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা হইবে ৮১ (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ), ৭৮ (সাংগঠনিক জেলা) ২১ জন (সভাপতি কর্তৃক মনোনীত) মোট ১৮০ জন।
জাতীয় কমিটি দায়িত্ব হিসাবে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে-(খ) জাতীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ ও কাউন্সিলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করিবে। (গ) যে কোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিলকে সহায়তা করিবে। (ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলি পর্যালোচনা করিতে পারিবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী বা বিশেষ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবসমূহ কার্যকর করিবে। (ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হিসাব-নিকাশ গ্রহণ ও অনুমোদন করিবে। (চ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। (ছ) সংসদীয় পার্টি পরিচালনার জন্য নিয়মাবলি প্রণয়ন করিবে। (জ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অন্যান্য কর্মকর্তা পদাধিকার বলে জাতীয় কমিটির কর্মকর্তারূপে কার্যক্রম পরিচালনা করিবে। (ঝ) বছরে জাতীয় কমিটির একটি সভা আহ্বান করিতে হইবে। তবে দলের সভাপতির নির্দেশক্রমে একাধিক সভা আহ্বান করা যাবে।