এখন ডেমক্রেসির পরিবর্তে আওয়ামীক্রেসি চলছে———-গোলাম মোহাম্মদ কাদের

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :  শুক্রবার, ১৪ জুলাই, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, সরকারী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে বেছে বেছে আওয়ামী লীগের লোক বসানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ হচ্ছে সরকারি দলের দুর্নীতিবাজদের সার্টিফিকেট দেয়া। তারা কোন দুর্নীতি করেননি। সকল জায়গায় বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, এটাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। ফলে গরীব আরো গরীব হচ্ছে, ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। ব্যবসা-বানিজ্যের নামে লুটপাট চলছে। দেশের মানুষের খোঁজ রাখা হচ্ছে না। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষে হতে পারে কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি নয়।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবের দেশ পরিচালনার সময়কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১০ নভেম্বর ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সামরিক আইন জারির মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে আইন সঙ্গতভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। প্রথম ভাগকে আদালত অবৈধ বলেছে, কারণ সংবিধান সঙ্গত ভাবে হয়নি। যদি জনগণের কল্যাণে কাজ হয়ে থাকে তাকে অবশ্যই বৈধ বরা যায়।


বিজ্ঞাপন

১৮৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলো। ১৯৯৬ সালে আবার বিএনপির বিরুদ্ধে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী। আরেকটি তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আরেকটি আন্দোলন এখন চলছে। ২০০৭ সালের জারুয়ারিতে একটি নির্বাচন হবার কথা ছিলো, তখন তত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি আন্দোলন হয়েছিলো। সেই সময়ে ওয়ান ইলেভেন এসেছিলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন, আমরা চিরস্থায়ীভাবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাই। এখন তারা সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। ১৯৯১ সালে তত্বাবধায়ক সরকার গঠন সংবিধান সম্মত ছিলো না।

পরবর্তীতে সংসদে এর বৈধতা দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের এর সময় অনিদিষ্টকালের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হয়েছিলো তাও সংবিধান সম্মত ছিলো না। আবারো নবম সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হয়েছিলো। সংবিধান সবাই মেনে চলিছি তা তো নয়।

সকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন করতে হবে নির্বাচিত সরকারের অধীনে, আমরাও চাই। নির্বাচিত সরকার যদি নির্বাচন কমিশনসহ সকল কিছু প্রভাবিত করতে পারে তাকে সমর্থন করা যায় না। সংবিধানে বলা হয়েছে গণতন্ত্রের কথা। জনগণ যদি মনে করে আমার ভোটে সরকার গঠন হয়েছে, তাকেই বলা যায় নির্বাচিত সরকার। নির্বাচন কমিশন যেন সরকারের প্রভাবের বাইরে থাকে। যদি আমার কথায় নির্বাচন কমিশন চলে, তাহলে আমি কী হেরে যাবো এমন সিদ্ধান্ত নেবো? সরকার নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ নামে ও বেনামে সরকার হয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের সরকারের জন্য কাজ করছে। তারা কাজ করছে তাদের সরকারের জন্য। কিছু মানুষ প্রশাসনে আছে, পুলিশে আছে, সরকারি বিভিন্ন বিভাগে আছে, তারা আগ বাড়িয়ে বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবার। আমরা ছাত্রলীগ-যুবলীগ করেছি। তারা আওয়ামী লীগের সভায় যায়, শ্লোগান দেয় এবং আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। এরা হচ্ছে বেনামে আওয়ামী লীগ।

এখন ডেমক্রেসির পরিবর্তে আওয়ামীক্রেসি চলছে। যেখানে গর্ভমেন্ট অব দ্যা আওয়ামী লীগ, গর্ভমেন্ট বাই দ্যা আওয়ামী লীগ এবং গর্ভমেন্ট ফর দ্যা আওয়ামী লীগ। এটা কথনোই ডেমেক্রেসি হতে পারে না। আমরা চাই নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। সেই সরকার নির্বাচিত হতে হবে। যে সরকার নিজেই নিজের ফরাফল ঘোষণা করতে পারে তাকে নির্বাচিত সরকার বলা যায় না। বর্তমান আওয়মীক্রেসি দেশের ইতিহাস বদলে দিচ্ছে, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ভয়াবহ দেশ রেখে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। তরুন সমাজ হতাশায় মাদকাসক্ত হয়ে গেছে।

দাশেরকান্দি নামে একটি প্রকল্প করা হয়েছে, উদ্দেশ্য হচ্ছে গুলশান-বনানী-বারিধারা এই এলাকার বর্জ্য পরিশোধণ করে তা বালু নদীতে ফেলা হবে। এক বছর আগে এটি উদ্বোধন করতে চেয়েছিলো। দেখা গেলো বর্জ্য নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রজেক্টের টাকা খরচের নামে ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে। প্রকল্প ব্যায় তিন হাজার সাতশো কোটি টাকা। এর শতকরা ৮০ ভাগই চীনের ঋণের টাকা। এটি চালাতে প্রতিবছর খরচ হবে ২শো ২৫ কোটি টাকা। আর ২০২৯ সাল থেকে চিনকে পরিশোধ করতে হবে ২শো কোটি টাকার বেশি। অথচ, বর্জ্য নিয়ে আসার লাইন এখনো হয়নি। লাইন তৈরী করতে করতে মেশিন পত্র নষ্ট হয়ে যাবে। এটি কেন করা হয়েছে? লুটপাটের জন্য? আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র চাই।

আজ বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, রাষ্ট্রপতির আহবানে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। তখন যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা ব্যতিত দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছিলো পল্লীবন্ধুকে। বর্তমান সরকারের প্রধান তখন বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, এর ব্যতিত আর কোন উপায় ছিলো না।

সাধারণ মানুষ এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ জনকল্যাণমূলক মনে করেছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে পল্লীবন্ধু আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বৈষম্যবিহীন একটি সমাজ গঠন করেছিলেন। আইন সবার জন্য সমান ছিলো। রাষ্ট্রয় সম্পদ বা সুযোগ সুবিধা সবার জন্য সমান ছিলো।

১৯৯১ সালের পর থেকে দলীয়করণ চলছে। দলের লোককে সুযোগ দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি, চাকরি বা ব্যবসা-বানিজ্যে। টেন্ডারবাজী চলেছে, দলীয় লোকেরা ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলছে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা অন্ধ ভিক্ষুকের কাছ থেকেও চাঁদা তোলে। চাাঁদার জন্য রাস্তগুলো বিপণণ কেন্দ্র করে ফেলেছে। কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলে আবার বন্টন হয়, এরশাদ সাহেবের সময়এগুলো ছিলো না। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো বৈষম্যের বিরুদ্ধে। পশ্চিম পাাকিস্তান আমাদের সাথে বৈষম্য করতো।

বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষ স্বৈরশাসন ও উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলো। একসময় মনে হলো বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে আমাদের নিজেদের একটি দেশ দরকার। ১৯৭১ সালে মুক্তির জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো। আমরা কী বৈষম্য থেকে মুক্তি পেয়েছি? এখন আওয়ামী লীগ ও নন আওয়ামী লীগ বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বা বাবা-চাচা’রা আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি পাওয়া যায় না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ভাগ করে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। কোন মানুষই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলো না। আবার, স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ সৃষ্টি বৈষম্য করা হচ্ছে। স্বাধীনতার বিপক্ষে কিছু লোক ছিলো। তাদের সংখ্যা খুবই কম। অনেকে মারা গেছে, অনেকের ফাঁসি হয়েছে আর যারা বেঁচে আছে তারা চলাফেরা করতে পারে না। তাহলে, তরুন সমাজের মাঝে স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষ করা হচ্ছে কেন?

এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, এই মুহুর্তে জাতির জন্য পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুবই গুরুতদ্বপূর্ণ ছিলেন। দুঃখের বিষয়, তিনি আমাদের মাঝে নেই। জাতীয় পার্টি নয় বছর দেশ পরিচালনায় মাত্র ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে অভূতপূর্ণ উন্নয়ণ করেছে। যা বর্তমান বাজেটের এক বছরের খরচের মাত্র ১০ ভাগ। জাতীয় পার্টির শাসনামলে কোন দুর্নীতি হয়নি।

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারনে ঐ দুটি দলের ওপর সাধারণ মানুষ বিরক্ত।

কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, জাতীয় পার্টির পথচলা কখনোই সহজ ছিলো না। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে জাতীয় পার্টি অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবে। পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর পার্টির সবার আস্থা আছে।

কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে। বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না আর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। দেশের মানুষ আতংকিত হয়ে এদের হাত থেকে মুক্তি চায়।

কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণ করে ইতিহাস হয়ে আছেন। তিনি উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে মানুষের হুদয়ে চিরঞ্জিব হয়ে আছেন। বাংলাদেশ থেকে পল্লীবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে না।

সকাল ৯টায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে পল্লীবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। দুপুরে বাদ জুমা মসজিদের মসজিদে পল্লীবন্ধুর মাগফিরাত কামনায় দোয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন – জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান – ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান- বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম এমপি, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, শেরীফা কাদের এমপি, ভাইস-চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি ।

স্মরই সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও মাহমুদ আলম এবং দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক ড. এরফান বিন তোরাব আলী। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন – জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন,  কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিরু, তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোড়ল জিয়াউর রহমান, মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম সরকার, ছাত্র সমাজের সভাপতি আল মামুন, মটর শ্রমিক পার্টির আহবায়ক মেহেদী হাসান শিপন।

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন – মাননীয় চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, আনিসুল ইসলাম মন্ডল, এড লাকি বেগম, গোলাম মোস্তফা, নাজনীন সুলতানা, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, মোবারক হোসেন আজাদ, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আশিক আহমেদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য – নির্মণ চন্দ্র দাশ, হুমায়ূন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, আনিস উর রহমান খোকন, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, এড ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, এম এ সোবহান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ডাঃ সেলিমা খান, মোস্তফা কামাল, এড. আব্দুর রশিদ, দ্বীন ইসলাম শেখ, ইব্রাহিম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা – নাজমুল খান, আব্দুস সাত্তার, শেখ মোঃ সারোয়ার হোসেন, আবু নাসের বাদল, জামাল হোসেন, এম এ কুদ্দুস মানিক, এড. আবু ওয়াহাব, মোঃ নুরুজ্জামান জামান, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আলমগীর হোসেন, মোঃ মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান বিপুল, জাহাঙ্গীর আলম, পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, তাছলিমা আকবর রুনা, ইলোরা ইয়াসমিন, লোকমান ভুঁইয়া রাজু, সীমানা আমিন, আসমা আক্তার রুমি, মিথিলা রওয়াজা, আসাদুল হক, আজিজুল হুদা সুমন, শারমিন, ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম খান সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *