!! দুদকের মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত দড়িনাড়িচা মৌজার দুটি খতিয়ান থেকে ৩ শতাংশ জমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ খতিয়ান, মৌজা ও দাগ এবং খাজনা খারিজ সৃজন করে দলিল লেখা সম্পাদন করার পর সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নানের কাছে উপস্থাপন করেন !!
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত তিন শতাংশ জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নাসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দড়িনাড়িচা গ্রামের দূর্গা দাসের ছেলে রঞ্জু দাস, ঈশ্বরদী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার ও ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের জিয়াউল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল হান্নান এবং দড়িনাড়িচা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাবেক দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত দড়িনাড়িচা মৌজার দুটি খতিয়ান থেকে ৩ শতাংশ জমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদ খতিয়ান, মৌজা ও দাগ এবং খাজনা খারিজ সৃজন করে দলিল লেখা সম্পাদন করার পর সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নানের কাছে উপস্থাপন করেন।
সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নান অনৈতিক পন্থায় কোনো কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করেই ২২০৪নং দলিলে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল একই এলাকার তাসলিমা আক্তার মুন্নীর নামে রেজিস্ট্রি করেন দেন। যা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সামিল এবং দুদকের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিরা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে দুদকের আইন অনুযায়ী দুদক পাবনা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।