বক্তব্য রাখছেন কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাত গতকাল সারাদেশ থেকে তাদের সন্ত্রাসীদের এনে ঢাকা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য তারা তা পারেনি। আজকে আবার তারা ঢাকায় সহিংসতা শুরু করেছে। এরা বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে ও গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য এদের শক্ত হাতে দমন করেছে। এরা কোথাও সন্ত্রাসী হামলা করতে পারেনি। বিএনপি’র সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও সহিংসতা আজ ব্যর্থ হয়েছে। আগামী দিনেও তারা আর কোথাও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারবেনা। দেশের মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করবে।
শনিবার ২৯ জুলাই, দুপুরে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা চাই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। অতীতেও বিএনপি-জামাত দেশের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি।আগামীতেও পারবেনা। যারা নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের প্রতিহত করা হবে।ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস বা বিদেশিদের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। বিএনপি জামাত জানে দেশের মানুষ তাদের সমর্থন করেনা। তার জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তারা জানে নির্বাচনে আসলে তারা পরাজয় বরণ করবে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামাত কতিপয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এরা নারী ও শিশুদের অধিকার নষ্ট করেছে।দেশের মানুষের অধিকার নষ্ট করার জন্য এরা সব সময় কাজ করে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দারিদ্র দূর করার জন্য কাজ করছেন। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর ও আশার প্রতীক। তার জন্যই বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে সম্মানিত জাতিতে পরিনত হয়েছে। দেশ এখন আর ব্যর্থ রাষ্ট্র নেয়। বাংলাদেশের আজ সফলতার শেষ নেই।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেই অর্জন করেছি একটি গোষ্ঠী সেটি নষ্ট করতে চায়। এরা লুন্ঠন, সাম্প্রদায়িকতা এবং হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। এই গোষ্ঠী সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল এবং দেশের সংবিধানকে এরা পদদলিত করেছে।এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে।ধর্মের নামে এরা মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। এরা আমাদের জাতিসত্তার উপর আঘাত এনেছে ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছে। এই বিএনপি জামাত সব সময় চায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে। এরা পাকিস্তানের আদলেই বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে। বিএনপি জামাত আমাদের সফলতাকে ধ্বংস করতে চায়। এরা দেশের কোন উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখেনা। দেশের যে উন্নতি হয়েছে সেগুলো তাদের চোখে পড়ে না। সারাবিশ্বের বড় বড় নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেয় অথচ এরা দেশের উন্নয়নের স্বীকৃতি দিতে চায়না।বিশ্বের বড় বড় নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। তারা বলেন তোমরা শেখ হাসিনার কাছে যাও, তার কাছে দরিদ্র দূরকরন ও সক্ষমতার বিষয়ে শিখে আসো। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলে তিনি চতুর্থবার এর মতো দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কারণ তিনি সৎ ও সাহসী।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাছিম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে ৫২ বছরের সবথেকে জনপ্রিয় নেত্রী হলেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তার কোন তুলনা হয় না। তার তুলনা তিনি নিজেই। তার দক্ষ নেতৃত্বে আমরা সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যারা আমাদের নেত্রীর চলার পথে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে তারা এগুলো দেশের জন্য করছে না।তারা এগুলো নিজের স্বার্থে করছে। এরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।
এদের নীতি হলো সারাদেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের ভালো থাকা নষ্ট করা। এরা সব সময় চায় দেশ যাতে ধ্বংস হয়। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এরা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনা। এরাই জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।
নেত্রকোনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মারুফ হাসান খান অভ্র’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান লিটু’র সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, মানু মজুমদার এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা অপু উকিল, হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি প্রমুখ।