নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতারকদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ। এরকমই এক প্রতারক জসিম উদ্দিন। তিনি শুধুমাত্র প্রতারণা করেই থেমে নেই, মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করেন। তার র্টাগেটে যে পরে তাকেই নি:শ্ব করে দেয়। মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা তার এক ধরনের নেশা ও পেশা। এছাড়া তিনি একজন নারী-লোভীও। এই প্রতারক, নারী লোভী, মামলাবাজ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি অসংখ্য মানুষকে পথে বসিয়েছেন। এরকমই একজন জাকিয়া সুলতানা লোপাকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নি:শ্ব করে দিয়েছে। তবুও জসিম উদ্দিনের হাত থেকে বাঁচতে পারছে না লোপা। তাকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। লোপার পাশে যে দাঁড়ায় তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার কারনে লেখাপড়া করতে পারছেন না লোপা। তার ভয়ে আত্মিয় স্বজনদের বাসা ছেড়ে হোস্টেলে থেকেও রেহাই পাচ্ছেন না। সেখানে গিয়েও উৎপাত করছে। এছাড়া থানা-পুলিশের কিছু সদস্যদের সহযোগিতায় মামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে। জানা গেছে, জাকিয়া সুলতানা লোপা প্রগতি গ্রুপ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে জসিমের সাথে পরিচয়। এরপর থেকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায় জসিমের প্রতারণা বুজতে পেরে তার কাছ থেকে যখন কেটে পরার চেষ্টা করে তখন ক্ষিপ্ত হয়ে জোর করে অপহরন করার চেষ্ট চালায়। তখন এলাকাবাসী সহযোগিতায় তাকে ধরে পুলিশে দিয়ে দিলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়। এরপর সে জেল খেটে বের হওয়ার পর একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হয়রানী করছে। এছাড়া সে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা ধার নিয়ে আত্তসাৎ করে। পাওনাদার টাকা চাইলে তাকেও বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং ভয় ভীতি দেখায়। এরকমই আরেকজন সফিকুল ইসলাম মজুমদার নামের লোকের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হয়রানি করছে। এরকম অনেক লোকের কাছ থেকে তিনি মোটা অংঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে লোপাকে পাওয়ার জন্য খরচ করছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন্ থানায় একাধিক মামলা ও জিডি আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট রয়েছে। তবুও জসিমের অপকর্ম, প্রতারণা এবং হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। দিন দিন প্রতারক জসিম বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং মানুষের ক্ষতিসাধন করছে। তার কাছ থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কমান করছেন।