বিশেষ প্রতিবেদক : জানুয়ারির ১ তারিখ থেকেই বসবে বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পণ্যের স্টল-প্যাভিলিয়ন অংশ নিবে মেলায়। বছরের এই সময়টির জন্য নগরবাসী অনেকটা অপেক্ষায় থাকে। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। মাসব্যাপী এ মেলায় বিভিন্ন ছাড়ে ক্রয় করা যায় বলে উপচে পড়া ভিড় থাকে।
এবার পহেলা ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে মেলার প্রস্তুতি কার্যক্রম। এখন চলছে শেষ সময়ের নির্মাণ কাজ। এরপর অন্দর শৈলীর পালা। তাই ঠুক-ঠাক শব্দে দিন-রাত এক করে কাজ করছে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
মেলার প্রস্তুতি প্রাঙ্গণে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেউ মেঝের বালি ভরাট করছে, কেউ কাঠের কাজ করছে, আবার কেউবা ঘর তৈরির কাজ করছে তো কেউ রংয়ের কাজ করছে। মেলা প্রাঙ্গণের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই চলছে শ্রমিকদের ব্যস্ততা। বিভিন্ন আদলে দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি হচ্ছে এক একটি প্যাভিলিয়ন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পানির ফোয়ারা, শিশু-পার্ক, ইকোপার্ক, দর্শনার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ, তথ্যকেন্দ্র, টিকেট কাউন্টার, ট্রাফিক কাউন্টার, মসজিদ, মেইন গেট, সার্ভিস গেট, দুই ফটকবিশিষ্ট ভিআইপি গেট, টয়লেট তৈরির কাজ চলছে বেশ জোরেশোরে। প্রতি বছর মেলায় শোভাবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হয় এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
মেলার প্রস্তুতি বিষয়ে স্টিল বিল্ডিং ঠিকাদার কোম্পানির রেজাউল করিম জানান, পহেলা ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটি প্রায় ৯টির মত স্টলের কাজ করছেন। আর দুই দিনের মধ্যেই তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। শুধু বাকি থাকছে অন্দরসজ্জা।
প্রাণ-আরএফএল এর সিকিউরিটি স্টাফ মুক্তারুল বলেন, এবার আমাদের প্রাণ-আরএফএল’র নয়টি প্যাভিলিয়ন মেলায় থাকবে। কাজ শেষ হবে ২৫-২৬ তারিখের মধ্যেই।
মেলার কাজ পরিচালনা দায়িত্বে থাকা গৃহিণী ঠিকাদার কোম্পানির শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ থেকে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি ২৮ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। গৃহিণীর স্টল মেলায় একটাই থাকবে আর বাকিগুলো অন্য কোম্পানির প্যাভিলিয়ন আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। এর মধ্যেই কিছু কিছু কোম্পানির কাছে আমরা স্টল-প্যাভিলিয়ন বিক্রি করেছি এবং কিছু এখনো নির্মাণাধীন রয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও জানুয়ারির ১ তারিখ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) পাশে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে। মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মেলার বিষয়ে আলোচনা শেষে রবিবারের পর বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে।