আ’লীগের পথচলা এত সহজ ছিল না

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

মহসীন আহমেদ স্বপন : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগই এদেশের মানুষকে কিছু দিতে পেরেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে বারবার। জাতির পিতাকেও কতবার হয়রানি করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা হয়েছে, ফাঁসির আদেশ হয়েছে। তারপরও তিনি সততার সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছিলেন বলেই বাঙালি একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শেষ করার অনেক চেষ্টা হয়েছে। যখনই আঘাত এসেছে, সবার আগে এসেছে আওয়ামী লীগের ওপরই। কিন্তু জাতির পিতার হাতে গড়া এই সংগঠন ধ্বংস করতে পারেনি কেউই।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে গঠন করা দল নয়। আওয়ামী লীগ গ্রাম-গঞ্জের মানুষ নিয়ে গঠন করা দল। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের উন্নতি হয়েছে। জাতির পিতা দরিদ্র মানুষদের জন্যই সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই দেশের মানুষ ছিলো দারিদ্রসীমার নিচে, একবেলা খাবার পেতো, চিকিৎসা পেতো না। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিলো এই ধারা থেকে জনগণকে মুক্তি করার। তিনি কিভাবে দেশ স্বাধীন করেছেন এটা তার প্রতিটি বক্তব্যেই এসেছে।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ মঞ্চের পাশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ও ওবায়দুল কাদের সাদা পায়রা উড়িয়ে দেন। আর পাশেই আলাদা মঞ্চে শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য নেতাকর্মী ও অতিথিরাও এতে সুর মেলান।
এদিকে সকাল থেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন।
দলের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীজুড়েই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল আটটা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে থাকেন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
সম্মেলনস্থলে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেটের মধ্যে চারটি গেট সকাল থেকে খুলে দেয়া হয়। এই চারটি গেট দিয়ে সকাল থেকে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা। ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করেন শেখ হাসিনা।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ, আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং ১৫ হাজার ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নিয়েছেন। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হচ্ছে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *