অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আবর।
সোমবার সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর এই রায় ঘোষণা করেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই পাঁচ ব্যক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তাদেরকে এই শস্তি দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের একজন উচ্চ পদস্থ উপদেষ্টাও রয়েছেন। এই হত্যা মামলায় বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাজাপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গত বছরের ২ অক্টোবর তালাক সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহের জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি। এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। পরে জানা যায়সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরেই তাকে নিষ্ঠুরভাবে গলা কেটে হত্যা করেছিলো সৌদি ঘাতকেরা। তাকে হত্যার জন্য সৌদি আরব থেকে তুরস্কে ছুটে এসেছিলো একটি টিম।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রথম থেকেই সৌদি আরবকে দুষছিলো তুরস্ক সরকার। কিন্তু প্রথম দিকে এ হত্যার দায় নিতে অস্বীকার করে রিয়াদ।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তাকে হত্যার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে সৌদি সরকার। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং আরো ১৮ সৌদি নাগরিককে আটক করেছিলো রিয়াদ। যদিও এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল সৌদি সরকার, বিশেষভাবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি বাদশাহর কড়া সমালোচক ছিলেন নির্বাসনে থাকা ওয়াশিংটন পোস্টের ভার্জিনিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক খাশোগি। গত মার্চে আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সৌদিতে বহু বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক কারাবন্দি আছেন। দেশটিতে এখন কেউ যুবরাজ ও তার তথাকথিত সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। কারণ এ নিয়ে যে উচ্চবাচ্য করবেন তিনি আর শ্বাস নেয়ার সুযোগ পাবেন না।’
ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, এর আগেও সৌদি কর্মকর্তারা তাকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছিল।